>গ্রামের বাড়ি গিয়ে একটা ধাক্কাই খেয়েছেন অনিল। সেখানে গিয়ে দেখতে পান মোবাইলে কথা বলার জন্য গ্রামের তরুণদের গাছ বেয়ে ওপরে উঠতে হয়। কারণ আর কিছুই নয়, ঠিকমতো নেটওয়ার্ক বা সিগন্যাল পাওয়া যায় না
যখন তিনি মাঠে থাকেন, তাঁর আঙুলের দিকে তাকিয়ে থাকে বিশ্বজোড়া ক্রিকেট দর্শকেরা। কী সংকেত দেবেন তিনি সেটা দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকেন ব্যাটসম্যান-বোলাররা। আইসিসির এই আম্পায়ার ভারতের অনিল চৌধুরী কি কখনো ভাবতে পেরেছিলেন, সিগন্যাল বা সংকেতের অভাবে তাঁর নিত্য দিনের কাজে ব্যাঘাত ঘটবে!
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারতের ওয়ানডে সিরিজ মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর আইসিসির আন্তর্জাতিক প্যানেলের আম্পায়ার অনিল তাঁর গ্রামের বাড়ি দানগ্রলে চলে যান। উত্তর প্রদেশের এই গ্রামটি ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে।
গ্রামের বাড়ি গিয়ে একটা ধাক্কাই খেয়েছেন অনিল। সেখানে গিয়ে দেখতে পান মোবাইলে কথা বলার জন্য গ্রামের তরুণদের গাছ বেয়ে ওপরে উঠতে হয়। কারণ আর কিছুই নয়, ঠিকমতো নেটওয়ার্ক বা সিগন্যাল পাওয়া যায় না। গাছের ওপরে উঠলে যদি একটু নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়! এই নেটওয়ার্কের সমস্যার কারণে বাড়িতে বসে আইসিসির কর্মশালার কাজ করতেও সমস্যা হচ্ছিল অনিলের।
এখন অবশ্য আর সমস্যা হচ্ছে না। অনিল বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলেন। খবর প্রকাশ হওয়ার পর একটি টেলিকম কোম্পানি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। দানগ্রলে একটি টাওয়ারও স্থাপন করেছে।
সমস্যার সমাধান হয়ে যাওয়ায় বেশ খুশি অনিল। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘আগের মতো এখন আর আমাকে ভিডিও কনফারেন্সের জন্য দিল্লির শাটল ট্রেন ধরতে হয় না। গ্রামের বাড়ি থেকেই এখন কর্মশালায় অংশ নিতে পারি।’
অনিলের ওপর খুশি গ্রামের মানুষেরা। কেউ না কেউ প্রায় প্রতিদিনই এসে তাঁকে এই উপকারের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে যায়।