২০২০ সালের বিশ্বকাপ জয়ের পর বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটাররা
২০২০ সালের বিশ্বকাপ জয়ের পর বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটাররা

নিউজিল্যান্ডকে বিশ্বকাপ থেকে সরিয়ে দিল কোয়ারেন্টিন

দেশে ফিরে অনেক দিন ধরে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন করতে হবে বলে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড জানায়, নিউজিল্যান্ড সরকারের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন থেকে কিশোর এই ক্রিকেটাররা কোনো ছাড় না পাওয়ায় ক্রিকেটারদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। নিউজিল্যান্ড নাম প্রত্যাহার করায় অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়ে গেছে স্কটল্যান্ডের যুবারা।

২০২০ সালে আকবর আলীরা বাংলাদেশকে এনে দিয়েছেন প্রথম বিশ্বজয়ের গৌরব

কোয়ারেন্টিন ও জৈব সুরক্ষাবলয়—এ দুটি বিষয় এখন ক্রিকেটারদের জীবনের অংশ হয়ে গিয়েছে। সফরে গেলেই প্রথমে সে দেশে বেশ কয়েক দিন কোয়ারেন্টিন করতে হয়, আবার অনেক ক্ষেত্রে দেশে ফেরার পরও সেটা করতে হয়। আর বিদেশ সফরের পুরোটা সময় জৈব সুরক্ষাবলয়ে থাকতে হয় ক্রিকেটারদের। অনুশীলন, মাঠ ও ম্যাচের বাইরে স্বাভাবিক জীবন বলতে কিছুর স্বাদ পাচ্ছেন না ক্রিকেটাররা।

কোয়ারেন্টিন ও জৈব সুরক্ষাবলয় ক্রিকেটারদের জন্য মাঝেমধ্যে এতই কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায় যে স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলাটাই ক্রিকেটারদের জন্য হয়ে যায় কঠিন। ভারতের এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ থেকে ছিটকে পড়ার কারণ হিসেবে বিরাট কোহলিরা তো প্রকারান্তরে জৈব সুরক্ষাবলয়কেই দায়ী করলেন।

নিউজিল্যান্ড যাচ্ছে না বিশ্বকাপ খেলতে

সাবেক ভারতীয় কোচ রবি শাস্ত্রী তো বলেই বসেছেন, জৈব সুরক্ষাবলয় ও কোয়ারেন্টিন করতে হলে স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের গড়ও কমে যেত! কোয়ারেন্টিন ও জৈব সুরক্ষাবলয়ের কারণে বিষাদগ্রস্ত হয়ে ক্রিকেট থেকেই সরে দাঁড়িয়েছিলেন বেন স্টোকস। এ কারণে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা হয়নি তাঁর।

একা একটা ঘরে দিনের পর দিন কোয়ারেন্টিন করা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যই প্রচণ্ড কষ্টের। ফলে ছোটদের জন্য বিষয়টি হয়ে দাঁড়ায় আরও কঠিন। এত কিছু বিবেচনা করেই নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দল পাঠাবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নিউজিল্যান্ড সরকারের কোয়ারেন্টিন নিয়মানুসারে, কোয়ারেন্টিনমুক্ত দেশ ব্যতীত অন্য যেকোনো দেশ থেকে নিউজিল্যান্ডে ফেরার পর অবশ্যই ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন করতে হবে।

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ের পর বাংলাদেশ দল

নিউজিল্যান্ড সরকার বেশ কিছু দেশের একটি তালিকা করে সেগুলোকে শর্ত সাপেক্ষে ‘কোয়ারেন্টিন ফ্রি’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ ওই দেশগুলো থেকে নিউজিল্যান্ডে ফিরলে কোনো কোয়ারেন্টিন করতে হবে না। এবারের অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিউজিল্যান্ডের কোয়ারেন্টিনমুক্ত দেশগুলোর মধ্যে না থাকায় এ দেশ থেকে যাঁরাই নিউজিল্যান্ডে ফিরবেন, তাঁদেরই ১৪ দিনেই কোয়ারেন্টিন করতে হবে। এ নিয়ম কারও জন্যই শিথিলযোগ্য নয়। ফলে ক্রিকেটাররাও কোনো ছাড় পাবেন না।

আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি শুরু হবে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ। অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা, গায়ানা, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস এবং ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর ১০টি ভেন্যুতে হবে ম্যাচগুলো। প্রথমবারের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজে আয়োজিত হচ্ছে যুব বিশ্বকাপ। বরাবরের মতোই মোট ১৬টি দেশ এ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করবে।