বিসিবির পরিচালনা পর্ষদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন নাজমুল হাসান। নির্বাচনের ফল পাওয়ার পর বিসিবির বর্তমান সভাপতির সঙ্গে অন্য বিজয়ীরা
বিসিবির পরিচালনা পর্ষদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন নাজমুল হাসান। নির্বাচনের ফল পাওয়ার পর বিসিবির বর্তমান সভাপতির সঙ্গে অন্য বিজয়ীরা

নাজমুলই হচ্ছেন ‘নতুন’ সভাপতি

২০১৩ ও ২০১৭ সালের নির্বাচনেও অংশ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দুবারই বিসিবির পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। নির্বাচনে জেতার স্বাদটা তাই অজানাই ছিল নাজমুল হাসানের। এবার সে স্বাদ পেয়ে রোমাঞ্চিত বিসিবির সর্বশেষ পরিচালনা পর্ষদের প্রধান।

কাল সর্বোচ্চ ৫৩ ভোট পেয়ে বিসিবির পরিচালক নির্বাচিত হওয়ার পর নাজমুল হাসান বলেছেন, ‘নির্বাচন কাকে বলে ক্রিকেট বোর্ডে এর আগে দেখিনি। গত দুবার নির্বাচন হয়নি। আজ (গতকাল) মোটামুটি নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ছিল। মানুষ ভোট দিয়েছে, এটাই বড় কথা।’

বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনের ফলাফল কাল অনানুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হলেও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হবে আজ। নির্বাচিত পরিচালকদের ভোটে বোর্ড সভাপতিও নির্বাচিত হয়ে যাওয়ার কথা আজই অনুষ্ঠেয় পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সভায়। নির্বাচিত পরিচালকেরা সেই পদে আবারও নাজমুল হাসানকে চান বলে তিনিই আবার দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন বোর্ডের। সভা শেষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন নতুন পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা।

ক্লাব কোটায় নাজমুল হাসানসহ নির্বাচিত ১২ পরিচালককে লড়তে হয়েছে ১৫ জনের সঙ্গে। তবে নির্বাচনে আরেকটু প্রতিযোগিতা দেখতে চেয়েছিলেন তিনি, ‘আরও খুশি হতাম যদি অংশগ্রহণ বেশি থাকত। ক্রিকেটে অবদান রাখতে পারতেন এ রকম অনেকেই নির্বাচনে আসেননি। হতে পারে প্রথম নির্বাচন বলে তাঁরা একটু সন্দিহান ছিলেন। কিন্তু সামনের নির্বাচনে আরও বেশি প্রার্থী অংশগ্রহণ করবে, এটাই আমি চাই।’ নাজমুল হাসানের বিদায়ী বোর্ডের যাঁরা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁদের সবাই এবারও নির্বাচিত হয়েছেন। নাজমুল হাসান এটাকে বলছেন ‘ভালো’ কাজের প্রতিফলন।

তাঁদেরই একজন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক নাঈমুর রহমান। ঢাকা বিভাগে প্রথমে চার প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলেও পরে দুজন সরে দাঁড়ানোয় অনেকটা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন নাঈমুর ও নারায়ণগঞ্জের তানভীর আহমেদ। তবে নাঈমুর বলেছেন, তিনি জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন শুরু থেকেই, ‘অন্যদের নাম প্রত্যাহারের আগেও আমার দুশ্চিন্তা ছিল না। কাউন্সিলরদের সঙ্গে যোগাযোগের সময় যে প্রতিক্রিয়া পেয়েছি, সে কারণেই দুশ্চিন্তা করিনি।’ নতুন মেয়াদে গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে দেশের টেস্ট ক্রিকেট উন্নয়নে কাজ করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

নির্বাচনের উত্তাপ বলতে যদি কিছুটা থেকে থাকে, তাহলে সেটি ছিল শ্রেণি-২–এর রাজশাহী বিভাগে। কিন্তু সর্বশেষ বোর্ডে থাকা সাইফুল আলমের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে ৭-২ ব্যবধানে হেরে গেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ। তিনি অবশ্য পরাজয়টাকে নিয়েছেন খেলোয়াড়সুলভ দৃষ্টিতে, ‘কাউন্সিলররা হয়তো তাঁকে (সাইফুল আলম) বেশি যোগ্য মনে করেছেন। আশা করি, তিনি খুব ভালো কাজ করবেন।’

শ্রেণি-৩ জাতীয় দলের আরেক সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদের কাছে ৩৭-৩ ভোটে হারার পর বিকেএসপির ক্রিকেট পরামর্শক নাজমুল আবেদীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘মাত্র ৩ ভোট পেলেও আমি বিব্রত না।’