তাঁর নাম মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন—ভারতীয় ক্রিকেটে নজর কাড়তে নামটাই যথেষ্ট। কিন্তু ‘আজহার’ নাম নিয়ে ‘আজহার’ হতে না পারলে সেই নাম দিয়ে কী হবে! নতুন আজহার অবশ্য এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, ‘মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন’ নামটার মর্যাদা তিনি রাখার সামর্থ্য রাখেন খুব ভালোভাবেই। লক্ষ্যে অবিচল আর কর্মে নিষ্ঠা থাকলে কে জানে হয়তো আর কয়েক বছরের মধ্যেই ভারতীয় ক্রিকেট পেয়ে যাবে আরেক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনকে!
তাঁর নাম মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন—ভারতীয় ক্রিকেটে নজর কাড়তে নামটাই যথেষ্ট। কিন্তু ‘আজহার’ নাম নিয়ে ‘আজহার’ হতে না পারলে সেই নাম দিয়ে কী হবে! কিন্তু নতুন আজহার এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, ‘মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন’ নামটার মর্যাদা তিনি রাখার সামর্থ্য রাখেন খুব ভালোভাবেই। লক্ষ্যে অবিচল আর কর্মে নিষ্ঠা থাকলে কে জানে হয়তো আর কয়েক বছরের মধ্যেই ভারতীয় ক্রিকেট পেয়ে যাবে আরেক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনকে!
এই আজহার ভারতের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে ঝড় তুলেছেন। আইপিএলের পরপরই ভারতে সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফির মর্যাদা। এতে আইপিএলের খেলোয়াড়েরা তো খেলেনই, খেলেন এমন কিছু খেলোয়াড়, যাঁদের অনেককেই আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো খুঁজে নেয় পারফরম্যান্স বিচার করেই। সুতরাং ভারতীয় ক্রিকেটে ভবিষ্যতের তারকা তৈরির কারখানাই বলা চলে এ টুর্নামেন্টকে।
কিছুদিন আগেই এ টুর্নামেন্টে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করে আলোড়ন তুলেছেন কেরালার এই আজহারউদ্দিন, যে ইনিংসটিই তাঁকে তুলনায় আনছে ভারতের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনের সঙ্গে। তাঁর মারকুটে ব্যাটিং তাঁকে খুব শিগগির ভারতীয় ক্রিকেট দলের দুয়ারে নিয়ে আসবে বলে ধারণা অনেকেরই।
নিজেকে অন্য উচ্চতায় তুলে ধরার রাস্তাটা খুঁজে পেয়েছেন। বছর ছয়েক ধরেই ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে, বিশেষ করে সীমিত ওভারের সার্কিটে তাঁকে খুবই সম্ভাবনাময় হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু সম্ভাবনাময় হলেও সাফল্য যেন কিছুতেই আসছিল না। মুম্বাইয়ের বিপক্ষে সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফির ম্যাচটি তাঁর মধ্যে সব সম্ভাবনার বিচ্ছুরণ ঘটিয়েছে। তিনি এখন নিজেই নিজের লক্ষ্য স্থির করছেন। সেই লক্ষ্যটা যে অনেক বিস্তৃত, সেটাই জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
৩৭ বলে সেঞ্চুরি করে আলোচিত হওয়ার পর আজহারের জীবনের নতুন লক্ষ্যগুলো কী? ভারতীয় পত্রিকা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সেটি জানিয়েছে। নতুন আজহার নিজের হাতে লিখে সেই লক্ষ্যগুলো স্থির করেছেন একটা কাগজে। কেরালার একটি টিভি চ্যানেলের বরাতে তারা সেই কাগজটির একটি ছবি দিয়েছে অনলাইন সংস্করণে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, নতুন আজহারের নতুন চারটি লক্ষ্য—‘আইপিএল, নিজের বাড়ি, মার্সিডিজ গাড়ি আর ২০২৩ বিশ্বকাপে খেলা।’
আইপিএলের লক্ষ্যটা পূরণ হওয়া খুব শিগগিরই সম্ভব। সামনেই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের নিলাম। মুম্বাইয়ের বিপক্ষে আজহারের সেই ইনিংসটি যে আইপিএলের নিলামে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর হর্তাকর্তাদের মাথায় থাকবে—এটা বলাই যায়। এমন মারকুটে ক্রিকেটারকে নিতে চাইবেন তাঁরা। একে দেশি ক্রিকেটার, তার ওপর তুলনামূলক কম দামে একজন কার্যকরী ক্রিকেটার তিনি। পরের আইপিএলটা যদি আজহার খেলেই ফেলেন, তাতে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।
আইপিএলে খেলা শুরু করলেই ‘নিজের বাড়ি’ আর ‘মার্সিডিজ বেঞ্জ’ গাড়ির স্বপ্নটা পূরণ হয়ে যাবে। ভারতীয় ক্রিকেটে অর্থের যে ঝনঝনানি, তাতে নিজের বাড়ি আর মার্সিডিজ গাড়ির স্বপ্নটা খুব সাধারণ স্বপ্নই বলা যায়। বাকি রইল ২০২৩ বিশ্বকাপে খেলা। কে জানে আগামী দুই বছর আজহার ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলে ফেললেন। পরিশ্রম করলেন প্রচণ্ড, শেষ লক্ষ্যটা তাতে পূরণ হয়ে গেলেও যেতে পারে।
লক্ষ্য স্থির করা হয়ে গেছে। এখন আজহারকে চেষ্টা করে যেতে হবে ‘ নতুন আজহার’ হয়ে ওঠার!