বিপিএলের ফাইনালে আজ খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ১৭০ রান তুলেছে রাজশাহী রয়্যালস
ফাইনাল শুরুর আগে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের বাইরে হই-হুল্লোড়। টিকিট চাই! টিকিট চাই! ছুটির দিনে বিপিএলের ফাইনাল দেখতে মুখিয়ে ছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। কিন্তু রাজশাহী রয়্যালস তাঁদের পয়সা উশুল করতে পারেনি। তাদের টপ অর্ডার ফাইনালের চাপটা বোধ হয় নিয়ে ফেলেছিল। খুলনা টাইগার্সের বোলারদের বিপক্ষে রাজশাহীর শুরু যেমন বিস্ফোরক হয়নি তেমনি ইনিংসের অর্ধেক পথ গিয়েও রান রেট মাত্র সাতের ওপরে। তাই অপেক্ষা ছিল আন্দ্রে রাসেলের মাঠে নামার। তাঁর সঙ্গে মোহাম্মদ নওয়াজ শেষ পাতে চার-ছক্কা মারতে শুরু করায় তখন হয়তো তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছেন দর্শকেরা।
পঞ্চম উইকেটে রাসেল-নওয়াজের অপরাজিত ৩৪ বলে ৭১ রানের জুটিতে দ্রুতলয়ে ঘুরেছে রাজশাহীর রানের চাকা। ৪ উইকেটে ১৭০ রানে থেমেছে তাদের ইনিংস। ওপেনার ইরফান শুক্কুর দলের সর্বোচ্চ স্কোরার (৫২)। যদিও তাঁর শুরুটা ছিল বেশ ধীর। এর আগে ২.৩ ওভারে আফিফ হোসেনকে (১০) তুলে নেন খুলনার পেসার মোহাম্মদ আমির। এতে শুরুর চাপটা কাটিয়ে উঠতে পারেননি লিটন দাস-ইরফান। পাওয়ার প্লে-তে উঠেছে ১ উইকেটে ৪৩। লিটন ও শুক্কুর মিলে ৪০ বল (৪৯ রান) খেললেও রানের গতি সেভাবে বাড়াতে পারেনি। ২৮ বলে ২৬ রানে আউট হওয়া লিটন স্বভাববিরুদ্ধ এক ইনিংসই খেললেন এবার বিপিএলের সবচেয়ে বড় মঞ্চে।
খুলনার স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ বোলিংয়ে আসলে হাত খুলতে শুরু করেছিলেন শুক্কুর। ৩৫ বলে ৫২ রান করা শুক্কুরকে ১৫তম ওভারে তুলে নেন আমির। এরপর ব্যাটিংয়ে নামেন রাসেল। কিন্তু মূল চমকটা দেখিয়েছিলেন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নওয়াজ। রাসেল এক প্রান্ত ঝড় তোলার চেষ্টা করলেও সেটি সেমিফাইনালের মতো ছিল না। খুলনার বোলাররা রাসেলকে ঠেকানোর পরিকল্পনা করায় সুযোগটা নিয়েছেন নওয়াজ। রবি ফ্রাইলিঙ্কের করা ১৮তম ওভার থেকে নওয়াজ একাই নিয়েছেন ২১ রান। আমিরের করা পরের ওভারে রাসেল-নওয়াজ ‘যৌথ প্রযোজনা’য় উঠেছে ১৮।
১৫তম ওভার শেষে রাজশাহীর স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ১০০। রাসেল-নওয়াজ জুটির মূল অভিযাত্রা শুরু হয় তখন থেকে। শেষ ৩০ বলে দুজন ৭০রান তোলায় সংগ্রহটা আশাব্যঞ্জক জায়গায় নিতে পেরেছে রাজশাহী। ৩ ছক্কায় ১৬ বলে ২৭ রানে অপরাজিত ছিলেন রাসেল। অন্য প্রান্তে ২০ বলে ৪১ রান করেন নওয়াজ। ২ ছক্কা ও ৬টি চার মারেন তিনি। খুলনার হয়ে ২ উইকেট নিলেও ৩৫ রান দেন আমির। ১টি করে উইকেট ফ্রাইলিঙ্ক ও শহীদুল ইসলামের (১/২৩)।