বিশ্বকাপে ধোনির ঘন ঘন ব্যাট পাল্টানো অনেকের চোখেই লেগেছে। কারণটা জানলে সবার অপছন্দ দূর হতে বাধ্য। ভারতের সাবেক এ অধিনায়ক শুধু ধন্যবাদ জানাতেই নাকি ভিন্ন ভিন্ন লোগোর ব্যাট ব্যবহার করেন
আজ ‘এসজি’ তো কাল ‘বিএএস’! কোনো কোম্পানির ব্যাট নিয়েই যেন সন্তুষ্ট হতে পারছেন না মহেন্দ্র সিং ধোনি। এ বিশ্বকাপেই তিনটি ভিন্ন লোগোর ব্যাটে মাঠে নামতে দেখা গেছে ভারতীয় উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানকে। এর পেছনে রহস্য কী? এত ব্যাট পরিবর্তন করছেন কেন?
ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপটা কী মনের মতো কাটাতে পারছেন ধোনি? উত্তরটা ধোনির কাছ থেকে না পাওয়া গেলেও সামান্য তো আন্দাজ করাই যায়। গেল ইংল্যান্ড ম্যাচেই ধোনির ধীরগতির ব্যাটিং নিয়ে হয়েছে কঠিন সমালোচনা। কেউ কেউ তো ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগও তুলেছেন! এরপর বাংলাদেশের বিপক্ষেও ধোনির স্বভাবসুলভ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং দেখা যায়নি। ক্রিকেটের বাইরেও ধোনিকে নিয়ে সমালোচনা চলছে। কারণটা তাঁর ব্যাট!
ইংল্যান্ড ক্রিকেট বিশ্বকাপেই ভিন্ন ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লোগোর ব্যাটে খেলতে দেখা গেছে ভারতীয় এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানকে। ধোনির কি এতই টাকার দরকার? এর উত্তরে সবাইকে একটু অবাক করেই দিয়েছেন ধোনির ম্যানেজার অরুণ পান্ডে। ধোনি নাকি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে কোনো প্রকার অর্থই নেন না, জানালেন পান্ডে, ‘ধোনি অনেক প্রতিষ্ঠানের অনেক ধরনের ব্যাট ব্যবহার করেন ঠিকই, কিন্তু এর জন্য তিনি কোনো টাকা নেন না। তিনি আসলে এর মাধ্যমে সেসব প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানাতে চান। তাঁর ক্যারিয়ারের বিভিন্ন সময়ে এ প্রতিষ্ঠানগুলোই তাঁকে সাহায্য করেছিল।’
শুধু কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেই নাকি ধোনি ঘন ঘন ব্যাট পাল্টান। ‘ধোনির মন অনেক বড়। তাঁর টাকার কোনো কমতি নেই, যথেষ্ট আছে। তিনি শুধু কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য ব্যাটগুলো ব্যবহার করেন। বিএএস ক্যারিয়ারের শুরু থেকে তাঁর সঙ্গে ছিল। এসজিও খুব উপকার করেছিল তাঁর’, বলেন ধোনির এ ম্যানেজার।
যেখানে ভারতীয় ক্রিকেটাররা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বছরে চার থেকে পাঁচ কোটি রুপি নেন, সেখানে ধোনি কোনো অর্থই নেন না। ভারতীয় সাবেক এ অধিনায়ক সর্বশেষ চুক্তি করেছিলেন স্পার্টানের সঙ্গে।