বেশ কয়েক দিন ধরেই মহেন্দ্র সিং ধোনির খারাপ ফর্ম নিয়ে মুখর নিন্দুকেরা। আইপিএল শেষ হওয়ার পর থেকেই ব্যাট হাতে খারাপ সময় কাটানো ধোনিকে রাখা হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে। ধোনি কি তবে ফুরিয়ে গেলেন? শহীদ আফ্রিদি মানছেন না সেটা।
সেই আইপিএলের পর থেকেই ধোনির ব্যাট যেন হাসতে ভুলে গেছে। যে কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে জায়গা পাননি তিনি। দীনেশ কার্তিক, ঋষভ পন্তদের মতো উঠতি তারকাদের এখন ধোনির জায়গায় ভারতীয় দলে খেলতে দেখা যাচ্ছে। ভারতকে ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আর ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতানো এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান কি তবে শেষের ডাক শুনতে পাচ্ছেন?
এই প্রশ্নে ধোনি এমন একজনের কাছ থেকে সমর্থন পেলেন, যাঁর কাছ থেকে তিনি হয়তো সমর্থন প্রত্যাশা করেননি। ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের সাবেক তারকা অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি ধোনির পক্ষে ব্যাট চালিয়ে বলেছেন, ধোনি কখন অবসর নেবেন, তা ঠিক করে দেওয়ার এখতিয়ার কারও নেই।
২০১৯ বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে খেলতে আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন ধোনি। কিন্তু পড়তি ফর্মের ধোনি কি আদৌ জায়গা পাবেন ভারতীয় দলে? নাকি নতুন দিনের নতুন প্রতিভা ঋষভ পন্ত, ঈশান কিষান, সঞ্জু স্যামসন, লোকেশ রাহুলদের ওপর ভরসা রাখবে ভারত? জবাবটা দিয়েছেন আফ্রিদি, ‘ধোনি ভারতের হয়ে যা করেছে, তা অন্য কেউ কখনো করতে পারেনি, কখনো করতেও পারবে না। তাই সে বিশ্বকাপে খেলবে কি খেলবে না, অবসর নেবে কি নেবে না, সেটি বলার অধিকার কারও নেই। ২০১৯ বিশ্বকাপে ধোনি খেললে ভারতের বিশ্বকাপ জেতার সম্ভাবনা অনেকটাই বাড়বে।’
কিছুদিন আগে একই ইস্যুতে মুখ খুলেছিলেন ভারতের সাবেক বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেবও। তিনি বলেছিলেন, তরুণ মহেন্দ্র সিং ধোনির ওপর মানুষ যে রকম প্রত্যাশা করত—যত প্রতিকূল পরিস্থিতিই হোক না কেন, সে ম্যাচ বের করে আনবে, এখনো ঠিক তেমনটাই করে। যা ঠিক নয়। ৫৯ বছর বয়সী কপিল দেব এনডিটিভিকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ধোনি তার ক্যারিয়ারে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে আমাদের হয়ে। তবে আমার মনে হয় আমরা আজ থেকে ১০ বছর আগেও ধোনির ওপরে যেমন প্রত্যাশা করতাম, এখনো ঠিক তেমনই করি। এভাবে প্রত্যাশা করলে লাভ হবে না।’
টি-টোয়েন্টিতে না খেললেও আগামী জানুয়ারিতে আবারও ভারতের জার্সি গায়ে মাঠে দেখা যাবে ধোনিকে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে।