সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে একটি রেকর্ড হাতছানি দিচ্ছে ঋষভ পন্তকে। ভারতের উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান রেকর্ড বইয়ের একটি পাতা থেকে মুছে ফেলতে পারেন তাঁর পূর্বসূরি মহেন্দ্র সিং ধোনিকে।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই হয়তো রেকর্ডটি গড়ে ফেলতে পারতেন পন্ত। কিন্তু ঘরের মাঠে কিউইদের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজে বিশ্রামে ছিলেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট সিরিজে ঋদ্ধিমান সাহার জায়গায় গ্লাভস হাতে দেখা যাবে তাঁকে।
দ্রুতই ভারত দলে নিজের জায়গা পাকা করে নিয়েছেন পন্ত। বিশেষ করে গত বছর বোর্ডার–গাভাস্কার সিরিজ থেকে অসাধারণ খেলেছেন। ব্যাট হাতে দুর্দান্ত সব ইনিংস তো খেলছেনই, গ্লাভস হাতেও আগের চেয়ে অনেক উন্নতি করেছেন। কিংবদন্তি অনেক ক্রিকেটারই পন্তের উইকেটকিপিংয়ের উন্নতি নিয়ে কথা বলেছেন এর মধ্যে।
এখন তো গ্লাভস হাতে ধোনির একটি ডিসমিসালের রেকর্ড ভাঙার প্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছেন পন্ত। ২৫ টেস্ট খেলা পন্তের নামের পাশে এখন ৯৭টি ডিসমিসাল (৮৯টি ক্যাচ ও ৮টি স্টাম্পিং)। ডিসমিসালের শতকের থেকে আর মাত্র ৩টি ক্যাচ বা স্টাম্পিং দূরে পন্ত। সেঞ্চুরিয়নে সেটা হয়ে যেতেই পারে। আর তাই যদি হয়, তাহলে ২৪ বছর বয়সী পন্ত হয়ে যাবেন দ্রুততম ১০০ ডিসমিসাল করা ভারতীয় উইকেটকিপার।
ভারতের দ্রুততম ১০০ ডিসমিসালের রেকর্ডটি এখন দলটির সাবেক উইকেটকিপার ধোনির। ভারতের সাবেক অধিনায়ক ১০০ ডিসমিসাল করেছেন ৩৬ টেস্টে। পন্ত সেটা করতে পারেন সেঞ্চুরিয়নে বক্সিং ডে টেস্টেই। এই ম্যাচে যদি নাও হয়, তাহলেও ধোনির রেকর্ড যে তিনি ভাঙবেন, সেটা যে কেউই বলতে পারবেন। কারণ, ধোনির রেকর্ড ভাঙতে যে সেঞ্চুরিয়ন টেস্টের পরও তাঁর হাতে থাকবে ৮টি ম্যাচ।
টেস্টে ভারতের দ্বিতীয় দ্রুততম ১০০ ডিসমিসাল করা উইকেটকিপার এখন ঋদ্ধিমান সাহা। ১০০ ডিসমিসালের মাইলফলক ছুঁতে তিনি খেলেছেন ধোনির চেয়ে একটি বেশি টেস্ট, ৩৭টি। তৃতীয় স্থানে থাকা কিরন মোরে ১০০ ডিসমিসাল করেছেন ৩৯ টেস্টে। ১০০ ডিসমিসালের জন্য নয়ন মঙ্গিয়ার লেগেছিল ৪১ টেস্ট, সৈয়দ কিরমানিকে খেলতে হয়েছিল আরও এক ম্যাচ বেশি।
বিশ্ব রেকর্ড অবশ্য করার সুযোগ পাননি পন্ত। ২২ টেস্টে ১০০ ডিসমিসাল নিয়ে রেকর্ডটা দুজনের দখলে-অ্যাডাম গিলক্রিস্ট ও কুইন্টন ডি কক।