বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে কাল ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে রান আউট হন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তাঁর রান আউট হওয়া ডেলিভারিটির বৈধতা নিয়ে বিতর্ক চলছে ভারতীয় ক্রিকেটে
ম্যাচে তখন দম আটকানো মুহূর্ত। জিততে হলে ১০ বলে ২৫ করতে হবে ভারতকে। উইকেটে মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো ফিনিশার। নিউজিল্যান্ড ফিল্ডার মার্টিন গাপটিল তাই ধোনির দৌড়ে আসার প্রান্তের স্টাম্প তাক করে থ্রো করেছিলেন। গাপটিলের নিখুঁত থ্রোতেই রান আউট হন ধোনি। এরপরই নিউজিল্যান্ডের দিকে ঘুরে যায় ম্যাচের পাল্লা। কাল বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ১৮ রানে জয়ের পর কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনও স্বীকার করেন, ধোনির রান আউট হওয়াই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু এ রান আউট নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও এবং ছবি প্রকাশের পর ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো ধোনির রান আউট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ধোনি লকি ফার্গুসনের যে ডেলিভারিতে রান আউট হলেন সেটি বৈধ ছিল কি না এবং বৈধ না হলে ফলটাও পাল্টে যেতে পারত বলে মনে করা হচ্ছে।
ম্যাচের সে মুহূর্তে (৪৯তম ওভার) তৃতীয় পাওয়ার প্লে চলছিল, যখন নিয়ম অনুযায়ী ৩০ গজের বাইরে পাঁচজন ফিল্ডার রাখতে হয়। কিন্তু ফার্গুসনের ওই ডেলিভারির (৪৮.৩) আগে টিভিতে একটি গ্রাফিক দেখানো হয়, যেখানে দেখা যায় নিউজিল্যান্ডের ছয়জন ফিল্ডার ৩০ গজের বাইরে। বাউন্ডারি সীমানায় ছয়জন ফিল্ডার রাখার সুবিধা থেকেই ধোনিকে ওই বলে ২রান নিতে দেয়নি নিউজিল্যান্ড। উল্টো রান আউট হতে হয় ধোনিকে। আর নিয়ম অনুযায়ী ফার্গুসনের ডেলিভারিটি ‘নো বল’ হওয়ার কথা। তবে এটাও মনে রাখতে হবে ‘নো বল’ হলেও ধোনি কিন্তু রান আউটই হতেন (নো বলে ব্যাটসম্যান রান আউট হতে পারে)।
কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রশ্ন অন্যখানে। আম্পায়ারের চোখে ডেলিভারিটি ‘নো বল’ হলে অমন ঝুঁকি নিয়ে ধোনি নিশ্চয়ই ২ রান নেওয়ার চেষ্টা করতে না? কারণ পরের ডেলিভারিটি হতো ‘ফ্রি হিট’। তবে ক্রিকেটপ্রেমীদের আরেকটি পক্ষের দাবি, গ্রাফিকে ভুল দেখানো হয়েছে। সে যাই হোক, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে রীতিমতো ঝড় বইয়ে দিয়েছেন ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীরা। তুমুল সমালোচনা হচ্ছে আম্পায়ারদের। এবার বিশ্বকাপে আম্পায়ারদের ভুল করা কিন্তু বিরল কোনো ব্যাপার না। দৃষ্টিকটু অনেক ভুলই করেছেন আম্পায়াররা।