অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রায় অসাধ্য এক কাজ করেছে ভারত। টেস্ট ও ওয়ানডে দুই সিরিজই জিতেছে। টেস্ট সিরিজটা প্রাধান্য বিস্তার করে জিতলেও ওয়ানডে সিরিজ জয় এত সহজে আসেনি। প্রথম ওয়ানডে হেরে বসায় পরের দুই ম্যাচেই জিততে হয়েছে ভারতকে। সে দুই ম্যাচেই নিজের গুরুত্বটা আবার প্রমাণ করেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। টানা দুই ম্যাচে দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেছেন। নিজের ফিনিশার পরিচয়ের পুনর্জন্ম ঘটিয়েছেন।
২০১৯ বিশ্বকাপ দলে ধোনির থাকা ঠিক হবে কি না এমন আলোচনা হচ্ছিল। একে তো দিনেশ কার্তিক ও ঋষভ পন্তের মতো উইকেটরক্ষকদের আবির্ভাব হয়েছে। তার ওপর তুলনামূলক ধীর গতির ব্যাটিং করে বহুদিন ধরেই সমালোচিত হচ্ছেন ধোনি। গত দেড় বছরে ভারতের হয়ে পঞ্চাশোর্ধ্ব কোনো ইনিংসে স্ট্রাইক রেট ১০০ করতে পারেননি ধোনি। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টানা দুই ম্যাচ জিতিয়ে ধোনি প্রমাণ করেছেন, ওয়ানডেতে ইনিংসের শেষভাগে ঝড় না তুলেও এখনো অবদান রাখা যায়। অধিনায়ক বিরাট কোহলি তাই বিশ্বকাপের আগে ধোনিকে নিয়ে ম্যাচ সব বিতর্ক মুছে ফেলতে চান। ভারতীয় ক্রিকেটের প্রতি ধোনির চেয়ে আর কেউ বেশি নিবেদিত নয় জানিয়ে কোহলি বলেছেন, ‘আমার ধারণা আমরা দল হিসেবে ধোনির জন্য খুবই খুশি। সে যে রানের মধ্যে আছে এটা আমাদের তৃপ্তি দিচ্ছে। কারণ ছন্দে ফিরতে হলে কিছু রানের দরকার হয়, আত্মবিশ্বাস ফিরে আসে। বিশেষ করে যখন আপনি অনেক দিন ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে আছেন।’
বাইরে অনেক কথা শোনা গেলেও ভারত দলে যে ধোনিকে নিয়ে কোনো সন্দেহ ছিল না কখনো সেটাও জানিয়ে দিয়েছেন কোহলি। বলেছেন দেশের ক্রিকেটের প্রতি ধোনির যে অবদান তেমনটা আর কেউ দাবি করতে পারবে না, ‘বাইরে অনেক কিছুই ঘটে মানুষ অনেক কিছুই বলে। কিন্তু একজন ব্যক্তি হিসেবে আমাদের জানা আছে ভারতীয় ক্রিকেটের প্রতি ধোনির মতো নিবেদন আর কেউ দেখাতে পারবে না। মানুষের উচিত তাঁকে একটু রেহাই দেওয়া কারণ দেশের জন্য তাঁর অবদান অনেক। মানুষের উচিত ধোনিকেই তাঁর সমস্যা খুঁজে বের করতে দিন এবং সমাধান করতে দিন। সে সবচেয়ে বুদ্ধিমান ক্রিকেটারদের একজন এবং সে তো এমন কেউ নয় যে জানে না কী করতে হবে। দল হিসেবে আমাদের সবার মধ্যে দারুণ সম্পর্ক। আমরা জানি সে কী করছে এবং আমরা সবাই তাঁকে নিয়ে খুশি।’