>সর্বকালের অন্যতম সেরা উইকেট রক্ষকের খেতাবটি অনেক আগেই নিজের করে নিয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। উইকেটের পিছনে তাঁর বিদ্যুৎগতির রিফ্লেক্সের রহস্য এবার সবার সামনে উন্মোচন করলেন দলটির ফিল্ডিং কোচ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিমো পল রবীন্দ্র জাদেজার গুড লেংথে পড়া বলটিকে কিছুটা সামনে এগিয়ে ডিফেন্ড করার চেষ্টা করে অসফল হলেন। বলটি তাকে পরাস্ত করে উইকেটের পিছনে থাকা মহেন্দ্র সিং ধোনির হাতে। চোখের পলকে স্টাম্পের বেল ফেলে দিলেন তিনি। মাত্র ০.০৮ সেকেন্ডের এক অভাবনীয় রিফ্লেক্সে কিমো পলের ইনিংসে যতি টানেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ওয়ানডেতে ধোনির ১২১টি স্টাম্পিংয়ের মাত্র একটির বর্ণনা এটি।
উইকেট কিপিংকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার কৃতিত্ব এককভাবে মহেন্দ্র সিং ধোনির। সেই ২০০৪ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকেই ভারতের উইকেটের পেছনে অতন্দ্রপ্রহরীর মতো দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। উইকেট কিপিংয়ে তাঁর দারুণ স্কিল ক্রিকেটপ্রেমীদের বিস্মিত করে। উইকেটের পিছনে ধোনির কারিকুরির আড়ালের গল্পটা এবার সবার সামনে উম্মোচন করলেন ভারতের ফিল্ডিং কোচ।
উইকেটের পিছনে ধোনি থাকা মানেই ব্যাটসম্যানদের রয়েসয়ে খেলা। ধোনির বিদ্যুৎগতির স্টাম্পিংয়ে চমৎকৃত হয়ে তাঁকে কম্পিউটারের চেয়েও দ্রুতগতির হিসেবে অভিহিত করেছিলেন শোয়েব আখতার। চোখের পলকেই স্টাম্পের বেল উড়িয়ে দিতে তাঁর মতো পটু যে আর কেউ নেই।
আপনার জানার আগ্রহ থাকতেই পারে, কীভাবে ধোনি তাঁর বিদ্যুৎগতির রিফ্লেক্সকে শাণিত করার জন্য অনুশীলন করেন। ভারত-আফগানিস্তান ম্যাচের আগে এক সাক্ষাৎকারে এবার সেই রহস্য ফাঁস করলেন ভারতের ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধার, ‘অনুশীলনের সময় সে একটা বিশেষ ড্রিল করে। সে কোনো একজনকে বলে প্লাস্টিকের স্প্রিং স্টাম্পে বল থ্রো করতে, তারপর স্টাম্পে লেগে বল যখন দিক পরিবর্তন করে, সে মুহূর্তেই সেটি ধরে ফেলার চেষ্টা করে। এভাবেই সে তার রিফ্লেক্স বাড়াতে কাজ করে। এই ড্রিলটি সে প্রত্যেক ম্যাচের আগেই করে। কখনো কখনো স্লিপ ক্যাচিংয়ের অনুশীলন করেও রিফ্লেক্স বাড়ানোর চেষ্টা করে ধোনি।’
একদিনের ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি স্টাম্পিংয়ের রেকর্ডটি এককভাবে ধোনির। ১০০টির বেশি স্টাম্পিং করা প্রথম উইকেটরক্ষকও মহেন্দ্র সিং ধোনি।