অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী অনন্য ছিলেন। ভারত দলে শুধু আক্রমণাত্মক ধারাই আনেননি, তরুণ প্রতিভাদের দলে টিকে থাকা নিশ্চিত করেছেন সাময়িক সাফল্যের উর্ধ্বে উঠে। প্রতিভা চিনে নিতে ভুল হতো না কখনো। মহেন্দ্র সিং ধোনিকে দেখেই যেমন বুঝেছিলেন, এই ছেলে ভারতকে নিয়ে যাবে অন্য উচ্চতায়।
২০০৪ সালে বাংলাদেশে অভিষেক হয়েছিল ধোনি। অভিষেকের আগেই এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানকে নিয়ে আশায় বুক বেঁধেছিলেন সৌরভ। কলকাতা নাইট রাইডার্সের সাবেক পরিচালক জয় ভট্টাচার্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ সফরের আগেই তাঁর কাছে ধোনির গল্প করেছিলেন সৌরভ। স্পটিফাই ও ইউটিউবে প্রচারিত পডকাস্ট ২২ গজে এসে জয় বলেছেন, '২০০৪ সালে বাংলাদেশে যাওয়ার ফ্লাইটের একটা কথা মনে আছে এখনো। সৌরভ বলছিল, “আমরা নতুন একটা চাবুক ব্যাটসম্যান পেয়েছি। ওকে দেখা উচিত তোমার। এমএস ধোনি তারকা হবে।”'
শুরুতেই প্রতিভা টের পাওয়ার সৌরভের এক ক্ষমতা বরাবরই মুগ্ধ করেছে সবাইকে। হরভজন, শেবাগদের সুযোগ করে দেওয়া সৌরভ সম্পর্কে জয়ের মূল্যায়ন, 'ওর সবচেয়ে দারুণ দিক হলো, আপনাকে দেখেই বুঝতে পারত প্রতিভা কেমন। যদি প্রতিভা থাকে, তাহলে সৌরভ তাকে সমর্থন দিত। রান না করুক, ব্যর্থ হোক, সৌরভের কিছু এসে যেত না। কারণ সে জানত, যেদিন প্রয়োজন হবে, ঠিকই রান করবে এরা।'
শুধু ধোনি বা শেবাগ নয়, হরভজন, যুবরাজ ও জহির খানদেরও সুযোগ করে দিয়েছিলেন সৌরভ। ভারতের হয়ে টেস্টে প্রথম হ্যাটট্রিক করে হরভজন ও প্রথম ত্রিশতক করে শেবাগ এর প্রতিদান দিয়েছেন। বিশেষ করে শেবাগের গল্পটাই বললেন জয়, 'যুবরাজের দিকে তাকান, শেবাগের দিকে তাকান। আপনারা জানেন শেবাগের জন্য কী করেছে সে। সে শেবাগকে বলেছে, “মিডল অর্ডারে অনেক বেশি লোক। ভারতের হয়ে খেলতে চাইলে ওপেন কর। এখানে আমি, শচীন, লক্ষণ, দ্রাবিড় আছে… কোথায় সুযোগ পাবে? যুবরাজ সিং বহু বছর ধরে সুযোগ পাচ্ছে না কারণ মিডল অর্ডারে অনেক লোক। যাও ওপেন কর'' এবং শেবাগ ওপেনিং বেছে নিল এবং ইতিহাস রচনা হলো।'