>এশিয়া কাপের সুপার ফোরে বাংলাদেশের বিপক্ষে একাই চারটি ক্যাচ নিয়েছেন শিখর ধাওয়ান। ওয়ানডেতে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ক্যাচ নেওয়ার তালিকায় যুগ্মভাবে দ্বিতীয় ভারতের এ ওপেনার
দুবাই ও আবুধাবিতে সুপার ফোরের দুটি ম্যাচ গড়িয়েছে একই দিনে। এ দুটি ম্যাচেই জিতেছ শ্রেয়তর শক্তির দুটি দল। কিন্তু ফিল্ডিংয়ে কী বৈপরীত্য! আফগানিস্তানের বিপক্ষে পাঁচ-পাঁচটি ক্যাচ ছেড়েও জিতেছে পাকিস্তান। আর বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের জয়ে শিখর ধাওয়ান একাই নিয়েছেন চারটি ক্যাচ।
ওপেনার নাজমুল হোসেনকে দিয়ে শুরু করেছিলেন ধাওয়ান। বলা ভালো, নাজমুলই তাঁর হাতে বল জমা পড়ার ব্যবস্থা করেছিলেন! অফ স্টাম্পে শরীর থেকে বেশ বাইরের বলে ঢিলেঢালা ড্রাইভ করতে গিয়ে স্লিপে ধাওয়ানকে ক্যাচ দেন নাজমুল। এরপর সাকিব আল হাসান এসেও একই পথে হেঁটেছেন। সেই ওভারে দুটি চার মারার পরও একই অঞ্চল দিয়ে আবারও চার মারতে গিয়ে ধাওয়ানের হাতে ধরা পড়েন সাকিব। এরপর বাংলাদেশের ইনিংসের শেষ দিকে আরও দুটি ক্যাচ নিয়েছেন ভারতের এই ওপেনার। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানেরা এ দুটি ক্যাচও তাঁর হাতে তুলে দিয়েছেন। মিরাজ অফ স্টাম্পের বাইরের বল টেনে পুল করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন ডিপ মিড উইকেটে। আর মোস্তাফিজ ধরা পড়েছেন কভার অঞ্চলে। ব্যস, এই চার ক্যাচেই ধাওয়ান নাম লিখিয়েছেন সুনীল গাভাস্কার, শচীন টেন্ডুলকার, রাহুল দ্রাবিড়, মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন, মোহাম্মদ কাইফ আর ভিভিএস লক্ষ্মণদের পাশে।
এই ছয় ক্রিকেটার এর আগে এক ম্যাচে চারটি করে ক্যাচ নেওয়ার কীর্তি গড়েছিলেন। ধাওয়ান হচ্ছেন হচ্ছেন সপ্তম ক্রিকেটার। ওয়ানডেতে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ক্যাচ নেওয়ার তালিকায় ধাওয়ান কিন্তু যুগ্মভাবে দ্বিতীয়। তাঁর সঙ্গে আছেন আরও ৪০ সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটার। বাংলাদেশ থেকে এই তালিকায় জায়গা করে নিতে পেরেছেন শুধু সৌম্য সরকার। ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে একাই চারটি ক্যাচ নিয়েছিলেন সৌম্য। ওয়ানডেতে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ক্যাচ নেওয়ার রেকর্ডটা ‘ফ্লাইং বার্ডস’খ্যাত জন্টি রোডসের। ১৯৯৩ সালে মুম্বাইয়ে হিরো কাপের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একাই পাঁচটি ক্যাচ নিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি এই ক্রিকেটার।