>সেই ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার অ্যালেক্স হেপবার্নের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগ প্রমাণিত হলো এত দিনে
অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার তিনি, ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেটে খেলে নিজেকে পোক্ত করার জন্য এসেছিলেন সাকিব আল হাসানের সাবেক ক্লাব উস্টারশায়ারে। সেখানে এসে ক্রিকেট খেলা বাদ দিয়ে তাঁরই ভাষায় অন্য এক ‘খেলা’য় পূর্ণ মনোনিবেশ করেছিলেন। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের ফলে ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। সে অভিযোগ প্রমাণিত হলো এত দিনে। একের পর এক নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ানো অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার অ্যালেক্স হেপবার্নের বিরুদ্ধে প্রমাণিত হয়েছে ধর্ষণের অভিযোগ।
২০১৭ সালে এক নারী হেপবার্নের নামে অভিযোগ করেছিলেন, ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় সম্মতি না নিয়েই হেপবার্ন তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন, যা প্রকৃতপক্ষে ধর্ষণ। পরে আদালতে হেপবার্নের নামে নালিশ করলে বের হয়ে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
অ্যালেক্স হেপবার্ন ও তাঁর সতীর্থ জো ক্লার্ক ২০১৬ সাল থেকেই নিষিদ্ধ এক খেলায় মত্ত। কে কতজন নারীর সঙ্গে রাত্রিযাপন করতে পারেন, খেলার মূল বিষয়বস্তু ছিল এটাই। এই খেলার জন্য তাঁদের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপে নিয়মিত অশ্লীল মেসেজের আদান-প্রদান হতো। কে কতজনকে ‘পটাতে’ পারলেন, সেই হিসাব রাখা হতো। এই খেলায় জেতার জন্য মরিয়া হেপবার্ন একজনের সম্মতি না নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে গিয়েছিলেন, যাঁর কিনা আদতে ক্লার্কের সঙ্গে রাত্রিযাপনের কথা। মামলার বাদী নাম অপ্রকাশিত সেই নারীই। অন্ধকার ঘরে প্রথমে বুঝতে না পারলেও হেপবার্নের কথায় অস্ট্রেলিয়ান টান শুনে বাদী বুঝতে পারেন, তাঁর সঙ্গী ক্লার্ক নন, হেপবার্ন। পরে হেপবার্নের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন সেই নারী।
এদিকে হেপবার্ন বরাবরই ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন। বারবার বলেছেন, যা হয়েছে, তা দুজনের সম্মতিতেই হয়েছে। কিন্তু টানা দুই বছর মামলা চলার পর অবশেষে হেপবার্নের এই দাবি আদালতের কাছে ধোপে টিকল না। মামলার রায় শোনার পর আদালত কক্ষে ভেঙে পড়েন হেপবার্ন। স্বীকার করেন, যা করেছেন, তা ছিল গর্হিত অপরাধ।
উস্টারশায়ারের হয়ে এ পর্যন্ত দুটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন হেপবার্ন। রান করেছেন ৩২। পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলে রান করতে পেরেছেন ২৫। বল হাতে তুলনামূলক সফল ছিলেন এই অলরাউন্ডার। প্রথম শ্রেণি ও টি-টোয়েন্টিতে ৬টি করে উইকেট আছে তাঁর। উস্টারের আদালত এখন হেপবার্নকে কেমন শাস্তি দেয়, সেটাই দেখার অপেক্ষা।