>দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ টেস্টেও হেরেছে পাকিস্তান। ফলে ৩-০ তে ধবলধোলাই হলো পাকিস্তান।
নিয়মিত পেসার ভারনন ফিল্যান্ডারের চোট, তাই পাকিস্তানের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা দলে সুযোগ পেয়েছেন ডুয়ান অলিভিয়ের। এই অলিভিয়েরের বোলিং তোপেই জোহানেসবার্গে উড়ে গেল পাকিস্তান। তৃতীয় ও শেষ টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে তাঁর ৮ উইকেট নেওয়ার ম্যাচে ১০৭ রানে হেরেছে পাকিস্তান। এতে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে তিন ম্যাচ সিরিজে ৩-০ তে ধবলধোলাই হলো সরফরাজের দল। আর দক্ষিণ আফ্রিকানরা ঘরের মাঠে জিতল টানা সাতটি সিরিজ।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৮১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৫৩ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে গতকাল তৃতীয় দিন শেষ করেছিল পাকিস্তান। আজ ও কাল শেষ দুই দিনে তাদের প্রয়োজন ছিল ২২৮ রান। আজ ৩ উইকেটে ১৫৩ রান নিয়ে দিন শুরু করা পাকিস্তান মুহূর্তেই ৫ উইকেটে ১৬২। শাদাব খান এরপর পাল্টা আক্রমণ করলেও বাকি ৫ উইকেট নিতে বেশি সময় লাগেনি দক্ষিণ আফ্রিকার। লাঞ্চের আগেই শেষ পাকিস্তানের সব প্রতিরোধ। প্রথম সেশনেই বাকি ৭ উইকেট নেই!
আজকের দিনটা ছিল রাবাদা-শো। পাকিস্তানের শেষ ৫ উইকেটের তিনটিই পেয়েছেন টেস্টের ১ নম্বর বোলার কাগিসো রাবাদা। ঠেকিয়ে লাভ কী, এই মনোভাব থেকেই শাদাব একটু আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। ৬৬ বলে ৭ চারে ৪৭ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন এই লেগ স্পিনার। নবম ও দশম উইকেটে হাসান আলী ও আব্বাসকে নিয়ে যোগ করেন ৩৪ ও ৩১ রান।
২৭৩ রানে অলআউট, ১০৭ রানে হার। টানা দ্বিতীয়বার দক্ষিণ আফ্রিকায় এসে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই পাকিস্তান। তাতে আবারও বৃথা গেল তাদের পেসারদের উজ্জীবিত লড়াই।
বল হাতে এমনই পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন অলিভিয়ের, সিরিজ-সেরার পুরস্কার উঠেছে তাঁর হাতেই। মোট ২৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। তবে ম্যাচসেরা কুইন্টন ডি কক। দ্বিতীয় ইনিংসে ১২৯ রান করেছে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। তাতেই পাকিস্তানকে প্রায় অসম্ভব এক লক্ষ্য দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
জোহানেসবার্গ টেস্টটাকে দুই দলের পেসাররা নিজেদের করে নিয়েছেন। পেসবান্ধব উইকেট পেয়ে এদিকে পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ আব্বাস, হাসান আলী, ফাহিম আশরাফ আর ওদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার ভারনন ফিল্যান্ডার, কাগিসো রাবাদা আর ডুয়ানে অলিভিয়েরের মতো বোলাররা ঝলসে উঠেছেন। তিনটি করে উইকেট অলিভিয়ের ও রাবাদার। সর্বোচ্চ ৬৫ রান এসেছে আসাদ শফিকের ব্যাট থেকে।
টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাইয়ের ধাক্কা সামলে পাকিস্তানের এখন ওয়ানডেতে পাল্টা জবাব দেওয়ার পালা। স্বাগতিকদের বিপক্ষে পাঁচটি ওয়ানডে ছাড়াও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে পাকিস্তান। প্রথম ওয়ানডে ১৯ জানুয়ারি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২৬২ ও ৩০৩।
পাকিস্তান: ১৮৫ ও ৬৫.৪ ওভারে ২৭৩ (শফিক ৬৫, শাদাব ৪৭ *, মাসুদ ৩৭, ইমাম ৩৫; অলিভিয়ের ৩/৭৪, রাবাদা ৩/৭৫, স্টেইন ২/৮০)।
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ১০৭ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: কুইন্টন ডি কক।
ম্যান অব দ্য সিরিজ: ডুয়ান অলিভিয়ের।