বাংলাদেশ কত রান করেছে, সেটি না জেনে কেউ যদি জেসন রয়ের ব্যাটিং দেখতে বসতেন, তিনি নিশ্চিত ধরে নিতেন বাংলাদেশ বুঝি ১৬০-১৭০ রানের লক্ষ্য দিয়েছে ইংল্যান্ডকে।
ইংল্যান্ড–বাংলাদেশ
জেসন রয়
ইংল্যান্ডের কোনো বোলার যে খুব দ্যুতি ছড়িয়েছেন, এমন নয়। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরাই উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন। টাইমাল মিলস ৪ ওভারে ২৭ রানে ৩ উইকেট দিয়েও তাই ম্যাচসেরা হওয়ার দৌড়ে আসতে পারেননি। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য ‘দুর্ভাগ্য’ তাঁদের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসা ম্যাচে প্রভাব রাখলেও এমন প্রভাবের জন্য ম্যাচসেরা হওয়া যায় না।
ইংল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে মঈন আলী বাংলাদেশের দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে প্রথম ধাক্কা দিয়েছেন বাংলাদেশকে। লিয়াম লিভিংস্টোন ফিরিয়েছেন বাংলাদেশ ইনিংসের চতুর্থ উইকেটে ৩৭ রানের জুটিতে দুই সঙ্গী মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহকে। তাঁরা দুজনও থাকতে পারতেন ম্যাচসেরার আলোচনায়।
কিন্তু বাংলাদেশের ১২৪ রানের জবাবে যেভাবে ব্যাটিং করেছেন ইংলিশ ওপেনার জেসন রয়, এরপর তাঁকে ছাড়া আর কাউকে ম্যাচসেরার পুরস্কার দেওয়ার কথা ভাবাই যেত না। আবুধাবিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৫ বল হাতে রেখে ইংল্যান্ডের ৮ উইকেটের জয়ের পথে ৩৮ বলে ৫ চার ৩ ছক্কায় ৬১ রান করেছেন জেসন।
বাংলাদেশ কত রান করেছে, সেটি না জেনে কেউ যদি জেসন রয়ের ব্যাটিং দেখতে বসতেন, তিনি নিশ্চিত ধরে নিতেন বাংলাদেশ বুঝি ১৬০-১৭০ রানের লক্ষ্য দিয়েছে ইংল্যান্ডকে। ১২৫ রানের লক্ষ্য টি-টোয়েন্টিতে তেমন কিছু নয়, আবুধাবির পিচে তেমন ভয়ংকর গতি, বাউন্স বা ঘূর্ণি ছিল না।
২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নিজেদের আমূল বদলে ফেলা ইংল্যান্ডের জন্য এমন পিচে ১২৫ রান তো চোখ বন্ধ করে পেরিয়ে যাওয়ার মতো লক্ষ্যই!
তবু সেই লক্ষ্যে একটা দিক নিশ্চিত করতে হতো, যাতে দ্রুত উইকেট না পড়ে। পঞ্চম ওভারে দলকে ৩৯ রানে রেখে ফিরলেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান জস বাটলার, এরপর বাকি কাজটা রয়ই সেরে নিয়েছেন।
দলীয় ১১২ রানে ফেরার আগে তিনে নামা ডেভিড ম্যালানের সঙ্গে ৭৩ রানের জুটি গড়েছেন। তাতে ইংল্যান্ড নিরাপদে জয়ের কাছে তো চলে গেছেই, ৩ পয়েন্টের পাশাপাশি নেট রান রেটে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যও পূরণ হয়ে গেল ইংল্যান্ডের।