দ্বিতীয় একাদশ খেলানোর বিলাসিতা দেখাবে শ্রীলঙ্কা!

দাপটের সঙ্গে সিরিজ জেতা হয়ে গেছে। এবার একটু আলসেমি তো করাই যায়! ছবি: এএফপি
দাপটের সঙ্গে সিরিজ জেতা হয়ে গেছে। এবার একটু আলসেমি তো করাই যায়! ছবি: এএফপি

বিশ্বকাপ শেষ হতে না হতেই পরের বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। সব দলই তরুণ ক্রিকেটারদের গড়ে নিতে চাইছে। শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য বাংলাদেশ দলে সে ছাপ দেখা না গেলেও শ্রীলঙ্কা সে কাজটাই করছে। লাসিথ মালিঙ্গা যেমন ফর্মের চূড়ায় থেকেই বিদায় নিয়েছেন ওয়ানডে থেকে। সিরিজের শেষ ম্যাচেও সে ছাপ রাখতে চাইছে শ্রীলঙ্কা।

পর পর দুই ম্যাচেই অনায়াস জয় পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। কোনো ম্যাচেই বাংলাদেশ এক মুহূর্তের জন্যও চালকের আসনে ছিল না। টানা দুই ম্যাচে দাপুটে জয় পেয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে শ্রীলঙ্কা। আর সে কারণেই বাংলাদেশকে ধবল ধোলাই করার সুযোগ পেয়েও পূর্ণ শক্তির দল নামাবে না শ্রীলঙ্কা। আজ সংবাদ সম্মেলনে সেটাই জানালেন দিমুথ করুণারত্নে, ‘এখনো এ নিয়ে কথা বলিনি, তবে আমাদের নতুনদেরও সুযোগ দেওয়া উচিত। শেহান (জয়াসুরিয়া) ও অন্যদের তৃতীয় ওয়ানডেতে খেলার সুযোগ আছে।’

ওয়ানডে ও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের যুগে কোনো ওয়ানডেই ফেলনা নয়। কারণ, এক ম্যাচ জয় বা হারে রেটিংয়ে প্রভাব পড়ে। আর র‍্যাঙ্কিং যে কত গুরুত্বপূর্ণ সেটা গত বিশ্বকাপেই বোঝা গেছে। সেরা আটে থাকতে না পেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বাছাইপর্ব খেলে তবে বিশ্বকাপের টিকিট কাটতে হয়েছিল। সিরিজের আগে শ্রীলঙ্কার চেয়ে ১৩ পয়েন্ট এগিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশকে ধবল ধোলাই করতে পারলে সেটা চারে নেমে আসবে। পরের সিরিজেই বাংলাদেশকে টপকে সাতে যাওয়ার সুযোগ পাবে শ্রীলঙ্কা।

বাংলাদেশ শেষ ম্যাচ জিতলে ব্যবধান আবার ৮ হয়ে যাবে। ফলে শেষ ম্যাচটিও শ্রীলঙ্কার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এমন নয় যে করুণারত্নেরা সেটা জানেন না। বাংলাদেশকে হারানোর জন্য তবু তরুণদের ওপরই আস্থা রাখতে যাচ্ছেন লঙ্কান অধিনায়ক, ‘আমরা জানি, এ জন্যই আমরা ৩-০ তে সিরিজটা জিততে চাই। একই সঙ্গে আমরা চাই নতুনদের সুযোগ দিতে। আমরা সবাই বসব, কালকের ম্যাচের জন্য কোচ, নির্বাচক সবাই মিলেই দলের কম্বিনেশন ঠিক করব। তবে কয়েকজন তরুণকে অবশ্যই সুযোগ দিতে চাই আমি।’

তরুণদের সুযোগ দেওয়ার কথা বাংলাদেশই শুধু ভাবেনি। তামিম ইকবাল শেষ ম্যাচের স্কোয়াডে খুব বেশি পরিবর্তন আনার পক্ষে নন। অবশ্য স্কোয়াডে তরুণ খেলোয়াড়ই-বা কই যে তাদের সুযোগ দেওয়া হবে!