জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক ও দেশটির কিংবদন্তি পেসার হিথ স্ট্রিককে ৮ বছর নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি।
দুর্নীতি দমন নীতিমালার বেশ কয়েকটি ধারা ভাঙায় এই শাস্তি পেলেন তিনি। বাংলাদেশের সাবেক এই পেস বোলিং কোচের শাস্তির খবরটি আজ সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে আইসিসি।
খেলা ছাড়ার পর কোচিংয়ে জড়ান স্ট্রিক। ২০১৬ থেকে ২০১৮—এ সময় জিম্বাবুয়ে দলের কোচের দায়িত্ব ছাড়াও ঘরোয়ায় বেশ কিছু দলের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এ সময়কালে বেশ কিছু ম্যাচ নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে আইসিসি। এর মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ম্যাচ।
এ ছাড়াও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল), ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ও আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগেও (এপিএল) কিছু ম্যাচ নিয়ে তদন্ত করা হয়।
স্ট্রিক এসব টুর্নামেন্টে দলের সঙ্গে থাকতে, দুর্নীতিবাজদের দুর্নীতি করার সুযোগ করে দিয়েছেন বলে ধারণা করা হয়েছিল। শুরুতে তিনি এই অভিযোগের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেও পরে দোষ স্বীকার করে নেন।
আইসিসির দুর্নীতি দমন নীতিমালায় পাঁচটি ধারা ভাঙার অভিযোগ স্বীকার করে নেন জিম্বাবুয়ের হয়ে ৬৫ টেস্ট ও ১৮৯ ম্যাচ খেলা স্ট্রিক।
টেস্টে ২১৬ এবং ওয়ানডেতে ২৩৯ উইকেট নেন তিনি। ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের বোলিং কোচ ছিলেন ৪৭ বছর বয়সী সাবেক এ পেসার। ২০১৬ সালের অক্টোবরে জিম্বাবুয়ে কোচের দায়িত্ব নেন তিনি।
জিম্বাবুয়েকে বিশ্বকাপে তুলতে ব্যর্থ হওয়ায় কোচের চাকরি হারান স্ট্রিক। ২০১৮ সালে আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বোলিং কোচের দায়িত্ব পান জিম্বাবুয়ের ইতিহাসে অন্যতম সেরা এ ক্রিকেটার।
আইসিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুর্নীতি-দমন ধারা ভেঙে দলের ভেতরকার তথ্য পাচার করেছেন স্ট্রিক। এসব তথ্য জুয়ার ক্ষেত্রে কাজে লাগতে পারে জানার পরও কাজগুলো করেছেন তিনি। সরাসরি সিরিজ ও টুর্নামেন্টের কথাও উল্লেখ করেছে আইসিসি।
জিম্বাবুয়ে, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে ২০১৮ সালে ত্রিদেশীয় সিরিজ হয়েছিল। সেই সিরিজ ছাড়াও জিম্বাবুয়ে-আফগানিস্তান সিরিজ এবং ২০১৮ আইপিএল ও ২০১৮ এপিএলে দলের ভেতরকার তথ্য পাচার করার অভিযোগ রয়েছে স্ট্রিকের বিরুদ্ধে।