ম্যাচটি এমনিতেই ঐতিহাসিক। এই প্রথম লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমেছিল পাকিস্তানের নারী ক্রিকেট দল। এমন উপলক্ষ হাতছাড়া করেনি তারা। বাংলাদেশকে ১৪ রানে হারিয়ে ইতিহাস রচনার সুরটা ইতিবাচকই রেখেছে স্বাগতিক দল।
দেশকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য নিরাপদ প্রমাণ করতে বাংলাদেশকে আতিথ্য দিচ্ছে পাকিস্তান। আজই মাঠে গড়াল তিন টি-টোয়েন্টি ও দুই ওয়ানডের এই সফর। তাতে সবাইকে ছাপিয়ে আলো ছড়িয়েছেন রুমানা আহমেদ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম ফিফটি পেয়েছেন রুমানা। ২৯ বলে পাওয়া ফিফটিটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের দ্রুততমও। কিন্তু চার বলে ১৭ রানের সমীকরণ মিলিয়ে দলকে জয় এনে দিতে পারেননি রুমানা। তাঁর বিদায়েই ৩ বল আগেই জয়ের স্বাদ পেয়ে গেছে পাকিস্তান।
প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১২৬ রান তুলেছিল পাকিস্তান। বাংলাদেশি বোলারদের সামনে পাকিস্তানের কোনো ব্যাটারই ভালো করেননি। সর্বোচ্চ ৩৪ রান বিসমাহ মারুফের। ২৯ বলের এই ইনিংসের সঙ্গী হয়েছেন উমাইমা সোহেল (৩৬ বলে ৩৩)। জাহানারা আলম ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৭ রান দিয়ে পেয়েছেন ৪ উইকেট। রুমানা ১ উইকেট পেলেও তাঁর ৪ ওভারে এসেছে মাত্র ১৪ রান। তবু যে পাকিস্তানের রান ১০০ পেরিয়েছে এর পেছনে অধিনায়ক সালমা খাতুনের অবদান। ৩ ওভারে ৩৯ রান দিয়েছেন সালমা।
বোলিংয়ে তবু রুমানাকে সঙ্গী পেয়েছিলেন জাহানারা। কিন্তু ব্যাটিংয়ে রুমানাকে আস্থা দিতে পারেননি কেউ। ৩০ বলে ১৭ রান করা নিগার সুলতানা ফেরার পর নেমেছিলেন রুমানা। ততক্ষণ ১০.২ ওভারে ৪০ রান তুলতে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলেছে দল। দলকে ৪৭ রানে রেখে ২৯ বলে ১৪ করে ফিরে গেছেন সানজিদাও। ৮ ওভারে ৮০ রান দরকার এমন অবস্থায় সর্বোচ্চ চেষ্টাই করেছেন রুমানা। ৬ চারের সঙ্গে দুটি ছক্কা ছিল তাঁর ইনিংসে। কিন্তু অন্যপ্রান্তে যে কেউ বলপ্রতি এক রান তোলার কাজটাই করতে পারেননি। ফলে ৭ উইকেটে ১১২ রানে থামতে হয়েছে বাংলাদেশকে।