সিরিজ জেতার চাপই কি কাল হয়ে উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য? প্রথম দুই ম্যাচ দাপটের সঙ্গে জেতা প্রোটিয়ারা ভারতের বিপক্ষে পরের দুই ম্যাচে নেমেছে সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে। দুই ম্যাচেই চাপের মুখে ভেঙে পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। রাজকোটে ১৭০ রানের লক্ষ্যে নামা দক্ষিণ আফ্রিকা অলআউট হয়েছে ৮৭ রানে। ৮২ রানে জিতে সিরিজে সমতা এনেছে ভারত। সিরিজের শেষ ম্যাচেই নির্ধারিত হবে বিজয়ী।
১৯ বল আগেই অলআউট হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ৫ উইকেট হারিয়েছে তারা ১৩ রানে। এটুকু শুনলে মনে হতে পারে, শেষ দিকে হুড়মুড় করে উইকেট হারানোই কাল হয়েছে তাদের। কিন্তু রান তাড়ার শুরু থেকেই ব্যাকফুটে ছিল সফরকারীরা। অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা চোট পেয়ে উঠে যাওয়ার আগে ১১ বলে ৮ রান করেছিলেন। হাস্যকরভাবে রানআউট হওয়ার আগে কুইন্টন ডি কক ১৩ বলে ১৪ রান করতে পেরেছিলেন।
পাওয়ার প্লের মধ্যে ডোয়াইন প্রিটেরিয়াসও বিদায় নিয়েছেন। শূন্য রানে ফেরার আগে ৬ বল নষ্ট করেছেন এই অলরাউন্ডার। এই যে রান তোলার গতি কমেছে, এটা আর পুনরুদ্ধার করা যায়নি। ১০ ওভার শেষেও রানরেট ছিল ৬-এর নিচে। সর্বোচ্চ ২০ রান করা রাসি ফন ডার ডুসেন খেলেছেন ২০ বল। তৃতীয় সর্বোচ্চ রান মার্কো ইয়ানসেনের! ১২ রান করা বাঁহাতি পেসার খেলেছেন ১৭ বল। ভারতের পেসার আবেশ খান ১৮ রান ৪ উইকেট পেয়েছেন। ২১ রানে ২ উইকেট চাহালের।
ম্যাচের প্রথম ইনিংসটি দিনেশ কার্তিক-শো। ৪০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল ভারত। ঋষভ পন্ত (২৩ বলে ১৭) ও হার্দিক পান্ডিয়া দলকে ৮১ রান পর্যন্ত নিয়ে গেছেন। কিন্তু কঠিন উইকেটে রান তোলার গতি সাড়ে ৬ পার হচ্ছিল না। কার্তিক নেমেই গতি পালটে ফেলেন। ৩১ বলে ৪৬ রান করা পান্ডিয়াকেও দর্শক মনে হচ্ছিল। ১৫ বছরের আন্তর্জাতিক টিই-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথম পঞ্চাশের দেখা পেয়েছেন কার্তিক। ২৭ বলে ৫৫ রান করার পথে ৯ চার ও ২ ছক্কা তাঁর। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৩৩ বলে ৬৫ রান এনে দিয়েছেন পান্ডিয়া ও কার্তিক। এই জুটিই ম্যাচটা দক্ষিণ আফ্রিকার হাত থেকে কেড়ে নিয়েছে।