একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। আরেকজন ইংল্যান্ডের শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের। করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে এই দুজন বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিচ্ছে বিসিবি। এর মধ্যে জাতীয় দল ও হাই পারফরম্যান্স দলের এক ঝাঁক ক্রিকেটারদের সঙ্গে অনলাইন সভাও করেছেন এই দুই বিশেষজ্ঞ।
প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবি চিকিৎসক দেবাশিস চৌধুরী, ‘একটা সূত্রে আমরা উনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছি। উনাদেরকে আমরা এখানে নিয়ে এসেছি। আমাদের সব বিষয় দেখিয়েছি। ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলিয়ে দিলাম। আমরা উনাদের বিশেষজ্ঞসুলভ জ্ঞান নিচ্ছি, সাহায্য নিচ্ছি।’
আমরা চেষ্টা করব তাঁদের সাহায্য নেওয়ার জন্য। শ্রীলঙ্কা সিরিজে যাওয়ার আগ পর্যন্ত উনাদের সাহায্য নেবদেবাশিস চৌধুরী, বিসিবি চিকিৎসক
দুই বিশেষজ্ঞ কাল আসবেন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম পরিদর্শন করতে। বাংলাদেশ দল শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়া পর্যন্ত বিসিবিকে পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করবেন এই দুই কোভিড-১৯ বিশেষজ্ঞ, ‘ক্রিকেটারদের সঙ্গে একটা সেশন করেছেন তাঁরা। কাল আবার আসবেন, মাঠ দেখবেন। আমরা চেষ্টা করব তাঁদের সাহায্য নেওয়ার জন্য। শ্রীলঙ্কা সিরিজে যাওয়ার আগ পর্যন্ত উনাদের সাহায্য নেব।’
এই দুই অধ্যাপক করোনার শুরু থেকেই বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করছেন। শুরু থেকেই বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে গবেষণা করায় তাঁদের জ্ঞান ব্যবহার করছে বিসিবি।
বাংলাদেশ দল আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কার বিমান ধরবে। তার আগে ১৮ সেপ্টেম্বর ক্রিকেটারদের করোনা পরীক্ষা করা হবে। ২০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা হোটেলে ওঠার কথা। সিরিজের প্রস্তুতি ক্যাম্প শুরু হবে পরদিনই। এক সপ্তাহ অনুশীলন শেষে শ্রীলঙ্কা যাবে বাংলাদেশ দল। একই সময়ে বিসিবি হাই পারফরম্যান্স দলের শ্রীলঙ্কা সিরিজ থাকায় জাতীয় দল ও হাই পারফরম্যান্স দল একই বিমানে শ্রীলঙ্কা যাবে।
শ্রীলঙ্কায় ৪ অক্টোবর কলম্বোতে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা বাংলাদেশের। ১০ অক্টোবর আরেকটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে প্রথম টেস্টের ভেন্যুতে ক্যান্ডিতে যাবে বাংলাদেশ দল। জাতীয় দলের প্রস্তুতি ম্যাচ গুলো হবে বিসিবি হাই পারফরম্যান্স দলের বিপক্ষে।
সফরের খসড়া সূচি অনুযায়ী প্রথম টেস্ট ২৩ অক্টোবর। একই ভেন্যু ক্যান্ডিতে ৩১ অক্টোবর হবে তিন টেস্টের সিরিজের দ্বিতীয়টি। ৮ নভেম্বর হওয়ার কথা সিরিজের শেষ টেস্ট, ভেন্যু কলম্বো। অন্যদিকে সিরিজের সূচি ঠিক না হলেও শ্রীলঙ্কা হাই পারফরম্যান্স দলের সঙ্গে চার দিনের ম্যাচ ও একদিনের ম্যাচ খেলার কথা ছিল বিসিবি হাই পারফরম্যান্স দলের।