>কোয়ারেন্টিনে থেকে নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে বাংলাদেশকে হারানোর হাইলাইটস দেখতে পছন্দ করেন দীনেশ কার্তিক।
ম্যাচ ছিল বাংলাদেশের হাতের মুঠোয়। ২০১৮ সালে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে বাংলাদেশকে হারাতে ভারতের দরকার ছিল ১ বলে ৫ রান। বাংলাদেশের ছুড়ে দেওয়া ১৬৭ রানের ম্যাচটি এসে ঠেকে ইনিংসের শেষ বলে। বোলার সৌম্য সরকার আগের বলেই আউট করেছিলেন বিজয় শঙ্করকে। শেষ বলে নিশ্চয়ই ৫ রান দিয়ে বসবেন না সৌম্য। স্ট্রাইকে থাকা দিনেশ কার্তিক নিশ্চয়ই শেষ বলে ৬ মারবেন না। বাংলাদেশি সমর্থকদের মনে হয়তো এমন সম্ভাবনাগুলোই উঁকি দিচ্ছিল।
কার্তিক অবশ্য ভিন্ন জগতে ছিলেন। মাত্র ৭ বলে ২৩ রানে করে ফেলেছিলেন ততক্ষণে। শেষ বলটাও যেন চার-ছক্কা না হয়, সে জন্য কার্তিকদের নাগালের বাইরে বল ফেলেছিলেন। সৌম্যর ওয়াইড ইয়র্কারটি নিখুঁত ছিল না। আবার একদম বাজে বলও ছিল না। কিন্তু দিনটা ছিল কার্তিক। তিনি ওয়াইড ইয়র্কারকে কাভারে ছক্কা বানিয়ে ছাড়েন। বল বাউন্ডারি পার হতেই কার্তিক দুই হাত বাতাসে উঁচিয়ে উল্লাসে মাতেন। আর দুই হাত মাথায় দিয়ে বসে পড়েন সৌম্য। কার্তিকের অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে ভারত নিদাহাস ট্রফির ফাইনাল জেতে ৪ উইকেটে।
করোনাভাইরাসের সময়টায় ঘরে বসে বসে নিদাহাস ট্রফির সেই মুহূর্তটাই বারবার দেখতে চান কার্তিক। তাঁর লম্বা ক্যারিয়ারে নাকি নিদাহাস ট্রফির ফাইনাল ম্যাচটাই তাঁর সেরা ম্যাচ। ক্রিকবাজের এক প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি বলেছেন, ‘ঘরে বসে হাইলাইটস বারবার দেখতে চাইব নিদাহাস ট্রফি ফাইনালের। সেই ম্যাচটা হয়তো আমার ক্যারিয়ারের সেরা ম্যাচগুলোর একটি। ওই ম্যাচটা খুবই উপভোগ করেছিলাম। ঘরে বসে সেই ম্যাচের হাইলাইটস বারবার দেখলেও বিরক্ত হব না।’
করোনাভাইরাসের কারণে অন্যান্যদের মতো ঘরেই সময় কাটাচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। ভারতীয়দেরও ঘরে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে বলছেন কার্তিক, ‘আমরা সবাই কম বেশি কাজের চাপে পরিবারকে সময় দিতে পারি না। অভিযোগ করি সব সময় এই ব্যাপারে। এখন সেই সুযোগটা আছে। এটাই সবচেয়ে সঠিক সময় পরিবারের পাশে থাকার।’