>বাংলাদেশের ক্রিকেটে সাকিব আল হাসানের রেকর্ডের অভাব নেই। তবে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের সেরা অলরাউন্ডার তো শুধু দেশের সীমানাতেই আটকে নেই। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আজ তিনটি রেকর্ডের সামনে সাকিব আল হাসান।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯। প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে বাজেভাবে হারা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় দিয়েই শুরু করতে চাইবে বাংলাদেশ। তবে দলের জয়ের পাশাপাশি সাকিব আল হাসানের চোখ থাকবে ব্যক্তিগত কিছু রেকর্ডেও। প্রথম ম্যাচের আগে যে তিনটি রেকর্ড হাতছানি দিয়ে ডাকছে তাঁকে!
প্রথম রেকর্ডটি অলরাউন্ডার হিসেবে সাকিবের শ্রেষ্ঠত্বের বড় একটি প্রমাণ হয়েই থাকবে। ওয়ানডে ক্রিকেটে ৫০০০ রান ও ২৫০ উইকেটের ‘ডাবল’ আছে মাত্র চারজন ক্রিকেটারের। আবদুল রাজ্জাক, জ্যাক ক্যালিস, শহীদ আফ্রিদি ও সনাথ জয়াসুরিয়ার পর পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে এই মাইলফলক গড়তে সাকিবের দরকার মাত্র একটি উইকেট।
কাঙ্ক্ষিত উইকেটটি পেয়ে গেলে বাকি চারজনকেও পেছনে ফেলে দেবেন সাকিব। মাত্র ১৯৭ ম্যাচ খেলেই ৫ হাজার ৬৬৭ রান ও ২৪৯ উইকেটের মালিক হয়ে গেছেন সাকিব। এর আগে যে চারজন ক্রিকেটার এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন, তাঁদের কেউই ২০০ ম্যাচের আগে সেটি ছুঁতে পারেননি। দ্রুততম হিসেবে ২৫৮ ম্যাচে এই ‘ডাবল’ অর্জন করেছিলেন পাকিস্তানের আবদুল রাজ্জাক। আফ্রিদি করেছিলেন ২৭৩ ম্যাচে, ক্যালিস ২৯৬ ম্যাচে ও জয়াসুরিয়া করেছিলেন ৩০৪ ম্যাচে। চারজনকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে কম ম্যাচে বিরল এই ‘ডাবল’ অর্জন করা তাই সাকিবের জন্য এখন সময়ের ব্যাপার।
ডাবলের এই রেকর্ডটি করতে হলে তাও একটি উইকেট নিতে হবে সাকিবকে। দ্বিতীয় রেকর্ডটি করার জন্য সাকিবের শুধু মাঠে নামাই যথেষ্ট। ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে আগেই রশিদ খানকে হটিয়ে ওয়ানডেতে অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করেছেন। এর আগে ২০১১ ও ২০১৫ বিশ্বকাপেও সাকিব খেলেছিলেন এক নম্বর অলরাউন্ডার হিসেবে। ইতিহাসে এর আগে কোনো ক্রিকেটার শীর্ষ অলরাউন্ডার হিসেবে টানা ৩টি বিশ্বকাপ খেলেননি। কাল মাঠে নামলে সাকিবই তাই হবেন র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থেকে ৩টি বিশ্বকাপ খেলা একমাত্র ক্রিকেটার।
বাকি দুই রেকর্ডের তুলনায় তৃতীয় রেকর্ডটি কিছুটা কম তাৎপর্যপূর্ণ মনে হলেও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সেটিও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। গত বছর প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে সব সংস্করণের ক্রিকেটে ১১ হাজার রানের মালিক হয়েছিলেন তামিম ইকবাল। প্রিয় বন্ধু তামিমের (১২ হাজার ৫১৯) পর দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এবার সেই মাইলফলক ছোঁয়ার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছেন সাকিব। সে জন্য সাকিবকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করতে হবে মাত্র ৫ রান। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে এখন সাকিবের মোট রান ১০ হাজার ৯৯৫।
আজকের ম্যাচে ব্যাট হাতে অন্তত ৫ রান ও বোলিংয়ে ১ উইকেট পেলে তিনটি রেকর্ডই একসঙ্গে করে ফেলবেন সাকিব। পারবেন কি?