সিরিজের প্রথম টেস্টেই দাপুটে জয় পাকিস্তানের। মনে হয়েছিল এবার বুঝি ইংল্যান্ডকে বাগে পেয়েছে সফরকারীরা। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেই পাকিস্তানকে বাস্তবে টেনে আনল ইংলিশরা। মাত্র তিন দিনেই শেষ করে দিল হেডিংলি টেস্ট। পাকিস্তানকে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৩৪ রানে অলআউট করে ইনিংস ও ৫৫ রানে ম্যাচ জিতে নিয়েছে ইংল্যান্ড।
অথচ দিনের শুরুতেও ব্যাট করছিল ইংল্যান্ড। ৩০২ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করেছিল স্বাগতিক দল। আর ম্যাচ শেষ হয়ে গেল দিনের এক সেশন বাকি থাকতেই! বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় দিনেও মাত্র ৫৯ ওভার খেলা হয়েছিল। না হলে কে জানে, এ ম্যাচ দুদিনেও শেষ হতে পারত!
৩০২ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে দিন শুরু করা ইংল্যান্ড শুরুতেই হারায় স্যাম কারেনকে। এরপর স্টুয়ার্ট ব্রড (২) ও জেমস অ্যান্ডারসনকে (৫) সঙ্গী করে ৪৪ রান যোগ করেন জস বাটলার। দুর্দান্ত সব শটে বাটলার তুলে নেন দারুণ এক ফিফটি। ব্রড-অ্যান্ডারসনরা আরেকটু সঙ্গ দিতে পারলে বাটলারের (৮০ *) টেস্ট ক্যারিয়ারের অষ্টম ফিফটিটা হতে পারত প্রথম সেঞ্চুরিও। ২ ছক্কা ও ১১ চারের ইনিংসটি ছিল ১০১ বলের। ৩৬৩ রানে থামে ইংল্যান্ডের ইনিংস।
দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছে পাকিস্তান। পঞ্চম ওভারে অ্যান্ডারসনের বলে আজহারের (১১) মিডল স্টাম্প উপড়ে গেল দলীয় ২০ রানে। এরপর প্রথম ইনিংসের গল্পের পুনরাবৃত্তি হলো। দ্বিতীয় ইনিংসেও ইংলিশ বোলারদের সামনে নাভিশ্বাস উঠল পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের। ইমাম-উল-হক (৩৪) ও উসমান সালাহউদ্দিনই (৩৩) খানিকটা যা প্রতিরোধ গড়েছিলেন। আজহার, ইমাম ও সালাহউদ্দিন ছাড়া পাকিস্তানের আর কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেনি। স্টুয়ার্ট ব্রড ও ডম বেস নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। অ্যান্ডারসন নিয়েছেন ২ উইকেট।
প্রথম ইনিংসে তবু ১৭৪ রান করেছিল পাকিস্তান। দ্বিতীয় ইনিংসে এল তার চেয়েও ৪০ রান কম। ২ টেস্টের সিরিজ শেষ হলো ১-১ সমতায়।