যতটা সহজ ভেবেছিল অস্ট্রেলিয়া, কাজটা তার চেয়ে একটু কঠিনই হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানকে ইনিংস ব্যবধানেই হারিয়েছে স্বাগতিকেরা। ব্রিসবেনে সিরিজের প্রথম টেস্টটি টিম পেইনের দল ইনিংস ও ৫ রানে জিতেছে চার দিনের মধ্যেই।
চতুর্থ দিন সকালে ৯৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে আগের দিনের ৩ উইকেট ৬৩ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসেও ঠিক এই অবস্থা হয়েছিল আজহার আলীর দলের—৫ উইকেট হারিয়েছিল ৯৪ রানে। পাকিস্তানের এই অবস্থা দেখে অনেকেই হয়তো ভেবেছিল, কত আর করবে পাকিস্তান—২০০ বা ২৫০ রান! কিন্তু ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি করে অস্ট্রেলিয়ানদের ভাবনা ভুল প্রমাণ করেছেন বাবর আজম। যদিও ১৭৩ বলে ১৩টি চারে তাঁর ১০৪ রানের ইনিংসটি বিফলেই গেছে। অস্ট্রেলিয়ানদের ইনিংস জয়ের অপেক্ষাই কিছুটা বাড়াতে পেরেছে।
দলের ২২৬ রানে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে বাবর আউট হওয়ার পরও ইনিংস হার এড়ানোর আশা বেঁচেছিল পাকিস্তানের। তখনো যে উইকেটে ছিলেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ান। ভালো ব্যাটিং করছিলেন তিনি, ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছিলেন ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্ট খেলতে নামা রিজওয়ান শেষ পর্যন্ত পারেননি। ৫ রানের জন্য পাননি ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। আর পারেননি দলকে ইনিংস হারের হতাশা থেকেও বাঁচাতে।
>বাবর আজম ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি পেয়েছেন। মোহাম্মদ রিজওয়ান ৫ রানের জন্য পাননি ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। এরপরও ব্রিসবেনে চার দিনেই ইনিংস ব্যবধানে হারতে হয়েছে পাকিস্তানকে।
সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে রিজওয়ান যখন ৯৫ রান করে ফিরে যান, পাকিস্তানের রান তখন ৩০৫। আউট হওয়ার আগে ইয়াসির শাহকে নিয়ে সপ্তম উইকেটে গড়েছেন ৭৯ রানের জুটি। ১৪৫ বলের ইনিংসটিতে মেরেছেন ১০টি চার। রিজওয়ান আউট হওয়ার পর আর ৬ ওভারই টিকতে পেরেছে পাকিস্তান। এর মধ্যে তুলতে পেরেছে ৩০ রান। যার মানে প্রথম ইনিংসে ২৪০ রান তোলা পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয়েছে ৩৩৫ রানে।
পাকিস্তানকে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলার জশ হ্যাজলউড। ২১ ওভার বোলিং করে ৬৩ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ৭৩ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন মিচেল স্টার্ক। প্যাট কামিন্সের উইকেট ২টি। পাকিস্তানের বাকি উইকেটটি নিয়েছেন অফ স্পিনার নাথান লায়ন।