‘কাল হয়তো এমন কাউকে ওপেনে দেখতে পারেন, যে আগে ওপেন করেনি’—গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তাহলে মেহেদী হাসান মিরাজই মাশরাফির সেই চমক। এশিয়া কাপ ফাইনালে লিটন দাসের সঙ্গে যে ওপেনিংয়ে নামলেন এই ২০ বছর বয়সী বোলিং অলরাউন্ডার।
এবার এশিয়া কাপে টপ অর্ডার নিয়ে ভুগছে বাংলাদেশ। প্রথম তিন ব্যাটসম্যানের কেউ সেভাবে থিতু হতে পারেননি। তামিম ইকবালের অনুপস্থিতিতে ওপেনিংয়ে লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। ওপেনিংয়ে সমস্যা কাটাতে তাই দেশ থেকে উড়িয়ে আনা হয়েছে ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকারকে। পাকিস্তানের বিপক্ষে আগের ম্যাচে সৌম্যও নিদারুণ ব্যর্থ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওপেনিং জুটিতে এসেছে ১, আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৫, সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষেও ১৫। আফগানিস্তানের সঙ্গে ১৬ আর সবশেষ পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫ রানের বেশি যোগ করতে পারেনি বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি। বাধ্য হয়েই মিরাজকে ওপেন করতে পাঠিয়ে ফাটকা খেলেছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মিরাজ এর আগে কখনো ওপেন করেননি। আট, নয় বড় জোর ছয়ে ব্যাটিং করেছেন অফ স্পিনার হিসেবে পরিচিতি পাওয়া মিরাজ। তবে বয়সভিত্তিক দলে ব্যাটিংয়ে দ্যুতি ছড়িয়েছেন মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে। ২০১৬ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বেশির ভাগ সময়ই চাপের মধ্যে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন, টানা চার ফিফটি করেছিলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এসে যদি তাঁর ব্যাটিং-সত্তা একটু আড়ালেই চলে গেছে। অধিনায়ক মাশরাফি অবশ্য নানা সময়ে মিরাজের ব্যাটিং প্রতিভাকে কাজে লাগাতে চেয়েছেন। কিন্তু নানা পরিস্থিতিতে সেটি সম্ভব হয়নি। অবশেষে হলো। এবার এশিয়া কাপেই সুপার ফোরে ভারতের বিপক্ষে ব্যাটিং বিপর্যয়ে ৪২ রানের দারুণ একটি ইনিংস রয়েছে মিরাজের। সেটিই হয়তো টিম ম্যানেজমেন্টকে উৎসাহিত করেছে মিরাজকে ওপেনিংয়ে নামানোর।