করোনাবিরতিতে ফিরে তাসকিন আহমেদ যে বোলিং করছেন, তাঁর ফিটনেস আর নিবেদন দেখে মুগ্ধ রাসেল ডমিঙ্গো। গত মাসে এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ২৫ বছর বয়সী পেসারকে নিয়ে বেশ স্তুতি করেছিলেন বাংলাদেশ দলের দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ। কাল আরেকটি সংবাদ সম্মেলনে ডমিঙ্গো জানালেন, কীভাবে বদলেছেন তাসকিন।
বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের আগে দুটি দুদিনের প্রস্তুতি ম্যাচে দারুণ বোলিং করেছেন। ছন্দটা ধরে রেখেছেন তিন দলের এই সিরিজেও। পরশু ‘সেমিফাইনালে’ রূপ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটা নাজমুল একাদশকে জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে তাসকিনের করা দ্বিতীয় স্পেলে দুর্দান্ত বোলিং। ১৮ বলে ২৭ রানের সমীকরণে মোহাম্মদ মিঠুন তাঁকে বিশাল ছক্কা মারার পরও ভেঙে পড়েননি। দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন, ব্যাটসম্যানের ওপর আবারও চাপ তৈরি করেছেন। ৩৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে কাল ম্যাচসেরার পুরস্কারও জিতেছেন তিনি। তাসকিন ম্যাচের সেরা বোলার হয়েছিলেন সিরিজের প্রথম ম্যাচেও।
তাসকিন কীভাবে নিজেকে বদলেছেন সেটিই বলছিলেন ডমিঙ্গো, ‘সবচেয়ে বড় জিনিস তাসকিন তার কাজের ধরন বদলেছে। অনেক পরিশ্রম করছে। শারীরিকভাবে খুব ভালো অবস্থায় আছে। এক কিংবা দুই স্পেলের চেয়ে বেশি বোলিং করতে পারে। পরের স্পেলগুলোয় ভালো গতিতে বোলিং করছে। এটা আমাদের জন্য তৃপ্তিদায়ক। আমরা এটা খুব নিশ্চিত করতে চাইছি যে আমাদের পেসাররা যেন সকাল ১০টা, বিকেল ৫টায় ভালো গতিতে বোলিং করতে পারে।’
বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হলেও সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি পেসারদের ধারাবাহিক সাফল্য। তাসকিনের কথা বললেন বটে। ডমিঙ্গো প্রশংসা করলেন সব পেসারেরই, ‘গত ছয়-সাত মাস ধরেই আমরা তরুণ কয়েকজন ফাস্ট বোলার খুঁজছিলাম। অবশেষে ফাস্ট বোলারদের একটা দল পেয়েছি যারা প্রতিযোগিতা করতে পারবে। ছয়-সাত জন ফাস্ট বোলার আছে যারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো করতে পারে। যদি দল ২৮০ করে, তাহলে আমরা বলব পেসাররা বাজে খেলেছে। আর ব্যাটসম্যানরা ১৮০ করলে আমরা বলব পেসাররা ভালো করেছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে পেসাররা খুবই ভালো করেছে। এটাই আমার জন্য সবচেয়ে বড় ইতিবাচক দিক। আমি ছেলেদের প্রশংসা করে শেষ করতে পারব না, ওরা গত দেড়-দুই মাসে কতটা পরিশ্রম করেছে।’
পেসারদের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বাংলাদেশ কোচ আরও যোগ করেছেন, ‘তাসকিনের গড়ন দেখুন, রুবেল কেমন করছে দেখুন। খালেদ বড় চোট থেকে ফিরেছে। ওরা ফিটনেস নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করেছে। যা দেখছি তাতে রোমাঞ্চিত। প্রতিটি আন্তর্জাতিক দলে একজন করে ফাস্ট বোলার আছে যে কিনা যে কোনো সময় উইকেট এনে দিতে পারে। ইংল্যান্ডে জফরা আর্চার, অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক, ভারতে যশপ্রীত বুমরা। এখন আমরাও দেখছি, যদি খেলা আটকে যায়, তাহলে আমরাও তাসকিন কিংবা খালেদের মতো কাউকে এনে বাউন্সারে দুই-একটি উইকেট নিতে পারব।’