তালেবান আর খেলাধুলা—দুটি যে দুই মেরুর জিনিস। এবার দ্বিতীয় দফায় আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তা–ও ক্রিকেট খেলাটাকে মোটামুটি স্বীকৃতি দিয়েছে তারা। কিন্তু নারীর খেলাধুলা নিয়ে এখনো ‘কট্টর’ বিরোধী তারা। নারীরা খেলাধুলায় অংশ নিতে পারবে না—তালেবানের সাফ কথা। সেটি যে খেলাই হোক না কেন!
তালেবান শাসনাধীন আফগানিস্তান এখন ক্রিকেটের সমীহ জাগানিয়া শক্তি। টেস্ট পরিবারের অন্যতম সদস্য। তালেবান ক্ষমতায় আসার আগেই সূচি ঠিক হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া সফরের। সেখানে হোবার্টে ডেভিড ওয়ার্নার-স্টিভ স্মিথদের সঙ্গে একটি টেস্ট খেলার কথা ছিল তাদের। তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকেই অস্ট্রেলিয়া রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের বিরোধিতা করছিল। সেই বিরোধিতার আঁচ পড়েছে ক্রিকেটের গায়েও। শঙ্কা ছিল নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের কারণে অস্ট্রেলিয়া আফগানিস্তানের সঙ্গে টেস্ট সিরিজ বাতিলও করতে পারে। সেটিই সত্যি হলো। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) জানিয়েছে, টেস্ট খেলার জন্য আপাতত আফগানিস্তানকে আমন্ত্রণ জানাবে না তারা।
সিএ’র বিবৃতিতে সরাসরি তালেবান শাসনের কথা উল্লেখ না করে বলা হয়েছে, ‘আফগানিস্তানে ও বিশ্বজুড়ে মেয়েদের ও ছেলেদের ক্রিকেটের উন্নতিতে সহায়তা করতে সিএ (ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া) প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে বর্তমান অনিশ্চয়তার কারণে সিএ মনে করছে, পরিস্থিতি আরও পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত এই টেস্ট স্থগিত করা জরুরি।’
আফগান ক্রিকেটারদের ওপর অবশ্য সিএ কোনো ‘নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করেনি, ‘আফগান ক্রিকেটারদের বিগ ব্যাশে আমন্ত্রণ জানাতে অবশ্য মুখিয়ে আছে সিএ। তারা খেলাটির দূত। আশা করি, আফগানিস্তানের মেয়েদের ও ছেলেদের দলকে আমন্ত্রণ জানানোও খুব দূরের ভবিষ্যতের ব্যাপার নয়।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলার সময়েই অবশ্য আইসিসির সভা হওয়ার কথা। সেই সভায় অবশ্য আফগানিস্তান নিয়েও একটা অবস্থান নেবে আইসিসি। যেহেতু আইসিসির নিয়মই রয়েছে যেকোনো দেশের পুরুষ দলের পাশাপাশি মেয়েদের দলও থাকতে হবে। সে ক্ষেত্রে আইসিসি আফগানিস্তানের ক্রিকেট নিয়ে কী অবস্থান নেয়, সেটা দেখার অপেক্ষায় সবাই।