রুতুরাজের ইনিংস জয়টা সহজ করে দিয়েছে।
রুতুরাজের ইনিংস জয়টা সহজ করে দিয়েছে।

তরুণেরাই জেতালেন ধোনিকে

এবারের আইপিএল সমালোচনা শুনেই কাটাচ্ছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। চেন্নাই সুপার কিংস অধিনায়কের একের পর এক সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণিত হচ্ছে এবারের মৌসুমে। দলে তরুণ খেলোয়াড়দের সুযোগ না দিয়ে প্রায় প্রতিদিনই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার নিয়ে নেমেছেন। এ ব্যাপারে যুক্তি দেখিয়েছেন তরুণ ক্রিকেটাররা দলে জায়গা পাওয়ার মতো কিছু করে দেখাচ্ছেন না।

ধোনির এ যুক্তি প্রায় কেউই মানতে পারেননি। কড়া সমালোচনা হয়েছে তাঁর। একের পর এক হার ধোনির বিপদও বাড়িয়েছে। অবশেষে জয়ের দেখা পেল চেন্নাই সুপার কিংস। আজ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে ৮ উইকেটে হারিয়েছেন ধোনিরা। আর সে জয়টা এনে দিয়েছেন ধোনির আস্থা অর্জন করতে না পারা তরুণেরাই।

অভিজ্ঞদের আজ আর নামতেই হয়নি।

দুবাইয়ের উইকেটে রান তোলা কঠিন হয়ে উঠছে। ধীরে ধীরে গতি কমে এসেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উইকেটের। বিরাট কোহলি ও এবি ডি ভিলিয়ার্সের মতো দুই ব্যাটসম্যান আজ থিতু হয়েও রানের গতি বাড়াতে পারেননি। ৩৬ বল খেলে মাত্র ৩৯ রান করেছেন ডি ভিলিয়ার্স। ১৯তম ওভার পর্যন্ত টিকে থেকে ফিফটি পেয়েছেন কোহলি (৫০)। কিন্তু ইনিংসের কোনো পর্যায়েই খুব বেশি আক্রমণাত্মক হতে পারেননি। ৪৩ বলের ইনিংসে মাত্র একটি চার ও একটি ছক্কা মেরেছেন। সেই ছক্কাতেই অবশ্য একটি মাইলফলক ছুঁয়েছেন। পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে আইপিএলে ২০০ ছক্কা মারলেন কোহলি। এ কীর্তি আগেই করা ডি ভিলিয়ার্স আজ অবশ্য কোনো ছক্কাই মারতে পারেননি।

দলের সেরা দুই ব্যাটসম্যানদের এমন দিনে অন্যরাও ভালো করেননি। তাই ২০ ওভারে মাত্র ১৪৫ রান তুলতে পেরেছে বেঙ্গালুরু। উইকেট কাজে লাগিয়ে স্যাম কারেন দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। মাত্র ১৯ রানে ২২ বছর বয়সী নিয়েছেন ৩ উইকেট।

স্যাম কারেন বেঙ্গালুরুর ইনিংসকে গতি পেতে দেননি।

তাড়া করতে নামা চেন্নাইকে কখনো জয় নিয়ে চিন্তা করতে হয়নি। ফাফ ডু প্লেসির ঝোড়ো শুরুতে প্রথম ৫ ওভারে ৪৬ রান তুলে ফেলে দলটি। ১৩ বলে ২৫ রান করে ডু প্লেসি আউট হলেও সমস্যা হয়নি। অভিজ্ঞ অম্বাতি রাইডুকে (৩৯) সঙ্গী বানিয়ে রানের গতি ধরে রেখেছেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। লক্ষ্য থেকে ৩৩ রান দূরে থাকতে আউট হয়ে যান রাইডু। কিন্তু অধিনায়ক ধোনিকে নিয়ে ম্যাচ শেষ করে তবেই এসেছেন গায়কোয়ার। ৫১ বলের ইনিংসে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৫ রান করেছেন এই তরুণ। ২১ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন ধোনি।

বেঙ্গালুরুর পেসারদের ভুলও কিছুটা প্রভাব রেখেছে চেন্নাইয়ের জয়ে। এ উইকেটে ধীর গতির বাউন্সার কাজে লাগিয়েছে চেন্নাইয়ের পেসাররা। কারেনদের করা ১৯টি শর্ট লেংথের বল থেকে মাত্র ১৭ রান নিতে পেরেছেন কোহলিরা। কারণ তাদের বলের গতি গড়ে ঘণ্টায় ১২৫ কিলোমিটার ছিল। মন্থর উইকেটে এমন ধীর গতির বাউন্সারে রান তুলতে কষ্ট হয়েছে বেঙ্গালুরুর। এ থেকে শিক্ষা নিতে ব্যর্থ হয়েছেন ক্রিস মরিস ও সিরাজরা। তারা ১৩৫ কিলোমিটার গতিতে বল করেছেন। ফলে তাঁদের দেওয়া ১৩টি খাট লেংথের বল থেকে ৪৯ রান তুলেছে চেন্নাই। আর এটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে আজ।