বিপিএলে রান বন্যা হচ্ছে, এ দাবি কড়া সমর্থকও দাবি করতে পারবেন না। তবে যদি ঢাকা ডায়নামাইটসের সমর্থক হয়ে থাকেন, তবে আলাদা কথা। বিপিএলে একমাত্র এই দলই প্রতি ম্যাচে নিয়ম করে রান তুলছে। কখনো উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান, আবার কখনো লেট অর্ডার এসে কাজ আদায় করছে ঢাকার। আজ অবশ্য একটু ব্যতিক্রম হলো, আগের তিন ম্যাচেই ১৮০ ছাড়ানো ঢাকার ইনিংস থামল ১৭৩ রানে। জয়ের জন্য সিলেট সিক্সার্সকে করতে হবে ১৭৪ রান।
হজরতউল্লাহ জাজাই ও সুনীল নারাইনের ওপেনিং জুটি প্রথম দুই ম্যাচে দুর্দান্ত শুরু এনে দিয়েছিল ঢাকাকে। তাতেই ১৮৯ ও ১৯২ রানের দুটি বড় ইনিংস পেয়েছে ঢাকা। পরের ম্যাচে এ দুজন ব্যর্থ হলেও সেটা পুষিয়ে দিয়েছেন কাইরন পোলার্ড। আজ অমন পাগলাটে ব্যাটিং করতে পারেনি কেউ। প্রথম ওভারেই বিদায় নিয়েছেন জাজাই (৪)। ৬৭ রানের জুটি গড়লেও ঠিক ঝড় তোলা হয়ে ওঠেনি নারাইনের (২৫)। তবু স্কোরটা যে এমন বড় হয়ে উঠল এর পেছনে অবদান রেখেছেন সবাই।
তিনে নামা রনি তালুকদার আগের ম্যাচগুলোতে ইঙ্গিত দিয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। আজ অন্তত পঞ্চাশ পেরিয়েছেন। নারাইনের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সঙ্গীকে আড়ালে ফেলে দিয়েছেন রনি। সাকিবের সঙ্গী তৃতীয় উইকেট জুটিতেও। ৩১ বলে ফিফটি ছোঁয়া রনি ঢাকাকে দুই শ রানের আশা দেখাচ্ছিলেন। দ্বাদশ ওভারে আফিফ হোসেনকে প্রথম বলে ছক্কা মারার পর চারের হ্যাটট্রিকই করে ফেললেন। পঞ্চম বলে আরও এক বাউন্ডারির আশায় হাঁকাতে গিয়ে সীমানায় নিকোলাস পুরানের অবিশ্বাস্য এক ক্যাচের শিকার না হলে ঢাকা আজ হয়তো দুই শ পেরোত। ঢাকার স্কোর তখন ১০৬।
রনি ফেরার খানিক পরেই ফিরেছেন সাকিব (২৩)। পোলার্ড, রাসেল তো দুই অঙ্কেই যেতে পারেননি। কিন্তু নুরুল হাসান ও অভিষিক্ত মোহাম্মদ নাইম অষ্টম উইকেটে ৩১ বলে ৪৮ রান এনে দিয়েছেন।