খালেদ মাহমুদ ও ওপেনার তামিম ইকবাল।
খালেদ মাহমুদ ও ওপেনার তামিম ইকবাল।

বলছেন খালেদ মাহমুদ

ড্র করতে করতেই জিতবে বাংলাদেশ

দেশের বাইরে টেস্ট ম্যাচ জেতার চেষ্টা তো থাকবেই। তবে তার আগে নিয়মিত টেস্ট ড্র করতে চায় বাংলাদেশ দল। বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটের এমন দল হতে চায়, যে দলকে হারানো সহজ হবে না।

এরপর উন্নতির পরের ধাপ হিসেবে দেশের বাইরেও জয়ের পথে হাঁটতে চেষ্টা করবে বাংলাদেশ দল। পাল্লেকেলেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ড্র করার পর দলের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করতে গিয়ে টিম লিডার খালেদ মাহমুদ এমন কথাই বলেছেন।

শ্রীলঙ্কা থেকে বিসিবির পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় আজ মাহমুদ বলেছেন, ‘আমরা নিজেদের একটা টেস্ট দল হিসেবে গড়ে তুলতে পারি। এই ছেলেরাই নিজেদের গড়ে তুলতে পারে। আমরা যদি এভাবে টেস্ট ম্যাচে প্রতিযোগিতা করতে পারি, একটা বছর যদি অন্তত ড্র করতে পারি, ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, ব্যাটসম্যানরা যদি দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করে, তবে একটা সময় আসবে যখন আমরা টেস্ট ম্যাচ জেতা শিখব ইনশা আল্লাহ। নিয়মিত টেস্ট ম্যাচ জিতব, আমাদের জন্য ধারবাহিকতা ধরে রাখা খুব জরুরি।’

খালেদ মাহমুদ।

পাল্লেকেলেতে প্রথম টেস্টের উইকেট থেকে ফল প্রত্যাশিতও ছিল না। এমন কন্ডিশনে যে রকম পারফরম্যান্স প্রত্যাশিত ছিল, তেমনই করেছে বাংলাদেশ। তবে ২৯ এপ্রিল শুরু দ্বিতীয় টেস্টে এ রকম উইকেট আশা করছে না বাংলাদেশ। উইকেট হবে পেস কিংবা স্পিন–সহায়ক, এমনই ধারণা বাংলাদেশ দলের টিম ম্যানেজমেন্টের।

মাহমুদ বলেছেন, ‘এই উইকেটে ফল হওয়া খুবই কঠিন। পরের টেস্টে অন্য রকম কিছু অপেক্ষা করছে মনে হয়। উইকেট না দেখে সেটা এখনই বলা যাবে না। সিমিং উইকেট হতে পারে, কিন্তু কতটুকু সিমিং হবে আমরা জানি না। স্পিন উইকেটও হতে পারে। কিন্তু ফ্ল্যাট উইকেট হবে না। কারণ, শ্রীলঙ্কা দলও হয়তো পছন্দ করেনি প্রথম টেস্টের উইকেটটা।’

তাসকিনদের দুঃখ বুঝছেন খালেদ মাহমুদ।

প্রথম টেস্টের কন্ডিশন দেখে বোলারদের জন্য দুঃখই প্রকাশ করেছে জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। এমন কন্ডিশনে ২০ উইকেট নেওয়া যে খুবই কঠিন! তবে এই উইকেট ব্যাটসম্যানদের দুই হাত ভরে রান দিয়েছে। দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করার মতো ইনিংস খেলেছেন তামিম। নাজমুল হোসেনের অভিষেক সেঞ্চুরি, মুমিনুল হকের দেশের বাইরে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির সঙ্গে মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের ফিফটিতেও সেটিই ফুটে উঠেছে।

মাহমুদের আশা, ব্যাটসম্যানরা এমন পারফরম্যান্স পাল্লেকেলের দ্বিতীয় টেস্টে এবং জুনে জিম্বাবুয়ে সফরের টেস্ট সিরিজেও ধরে রাখবে, ‘যেভাবে ছেলেরা ব্যাট করেছে, তাতে আমি খুব খুশি। তামিমের দুটি ইনিংসই অসাধারণ ছিল। প্রথম ইনিংসের ৯০ রান তো আমাদের পুরো ড্রেসিংরুমের আবহই পরিবর্তন করে দিয়েছে। চাপের মুখে শান্ত (নাজমুল) যেভাবে নিজেকে মেলে ধরেছে, প্রথম ইনিংসে যেভাবে ব্যাট করেছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসাযোগ্য। মুমিনুলকে নিয়ে বলা হয় দেশের বাইরে রান করতে পারে না। কিন্তু মুমিনুলও দারুণ ব্যাট করেছে। মুশফিক, লিটন দুজনই ভালো সমর্থন দিয়েছে দলকে। আমার বিশ্বাস, ব্যাটিংয়ের এই ধারাবাহিকতা আমরা ধরে রাখতে পারব।’