বিশ্বকাপ দল থেকেও বাদ পড়েছেন হেলস। নিষিদ্ধ ড্রাগ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা মেনে নিলেও বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়া মানতে পারছেন না
ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপের প্রাথমিক দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে অ্যালেক্স হেলসকে। কিছুদিন আগে কাউন্টি দল নটিংহামশায়ারের ওয়ানডে দল থেকে নাম কাটিয়ে নিয়েছিলেন ব্যক্তিগত কারণে। বিশ্বকাপের আগে হঠাৎ ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোয় সবাই বিস্মিত হয়েছিলেন। কিন্তু কারণটা জানা গেছে তিন দিন আগে। নিয়মিত পরীক্ষায় হেলসের নমুনায় নিষিদ্ধ বস্তু মিলেছে। ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড এরপর হেলসকে বিশ্বকাপের দল থেকেই বাদ দিয়েছে। এমন ঘটনায় মন খারাপ হয়েছে হেলসের!
কাল বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ দেওয়ার কারণ হিসেবে দলের পরিবেশের কথা বলেছে নির্বাচক কমিটি। বোর্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যাশলে জাইলস বলেছেন, দলের মনোযোগ যেন লক্ষ্যচ্যুত না হয় সেটা নিশ্চিত করতেই হেলসকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে হেলসকে সব ধরনের সহযোগিতাই করবে বোর্ড। হেলসের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, এমন প্রতিশ্রুতি তাঁদের কাছে অর্থহীন মনে হচ্ছে। এক বিবৃতিতে তাঁরা জানিয়েছেন, ‘আমাদের মক্কেল, অ্যালেক্স হেলসকে বিশ্বকাপের প্রাথমিক দল থেকে বাদ দিয়ে ইসিবি যে আচরণ করেছে, তাতে আমরা খুবই হতাশ। এ ঘটনায় অ্যালেক্সের আচরণের কোনো অজুহাত আমরা দিচ্ছি না। অ্যালেক্স ভালোভাবেই জানে কত বড় ভুল করেছে সে। ’
অ্যালেক্সের প্রতিনিধিদের বিবৃতির পরবর্তী অংশ বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে জনমনে। তাঁদের দাবি, নিষেধাজ্ঞা পেলেও বিশ্বকাপের দলে নাকি জায়গা পাকা ছিল হেলসের, ‘কিন্তু প্রতিটি ধাপে অ্যালেক্স তার দায়িত্ব পালন করেছে এবং ইসিবি তাকে ও তার প্রতিনিধিকে নিশ্চিত করেছে যেকোনো নিষেধাজ্ঞাই তার ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে নির্বাচিত হওয়ার পথে বাধা হবে না। এটা খুবই দুঃখজনক যে এমন গোপনীয় একটি ব্যাপারের খবর প্রকাশিত হওয়ার আগেই মানুষকে জানিয়ে দেওয়া হলো। অ্যালেক্স এর মধ্যেও বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের কথা বলে অনুতাপের কথা জানিয়েছে। সেসব আলোচনার শেষেও সে এই ধারণা নিয়ে ফিরছে যে বিশ্বকাপে তার জায়গা পাওয়ার বিষয়টি শুধু খেলার দক্ষতার ওপর নির্ভর করবে। বারবার দেওয়া প্রতিশ্রুতি এভাবে অর্থহীন হয়ে পড়ায় অ্যালেক্স খুবই হতাশবোধ করছে।’
এ ব্যাপারে অ্যাশলে জাইলস অবশ্য আগেই বলে রেখেছেন, ‘এ সিদ্ধান্ত অনেক ভেবে নেওয়া হয়েছে। আমি নিশ্চিত করে বলছি, ইংল্যান্ডের হয়ে এখানে ক্যারিয়ার শেষ হচ্ছে না হেলসের।’