>এবারের বিপিএলে এখনো পর্যন্ত রংপুর রাইডার্সের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। আশা হয়ে এলেন ডি ভিলিয়ার্স। কিন্তু কোচ টম মুডি মনে করেন, একা ডি ভিলিয়ার্স বদলে দিতে পারবেন না পরিস্থিতি
এবারের বিপিএলে এখনো পর্যন্ত খুব ভালো অবস্থায় নেই গতবারের চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স। ছয় ম্যাচের চারটিতেই হেরে বড় বাজেটের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি এখন পরিত্রাণ খুঁজছে। দলের মধ্যে চলছে আত্মসমালোচনা। টানা তিন ম্যাচ হারলে এমনিতেই যেকোনো দল মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে, রংপুরও ব্যতিক্রম নয়। তাদের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা ক্রিস গেইল খুব ভালো কিছু করতে পারেননি। ইংলিশ তারকা অ্যালেক্স হেলসও শেষ ম্যাচে ব্যর্থ। বোলিং ভালো হলেও এখনো পর্যন্ত বিপিএলে তাদের বাজে ফলের মূল কারণ ব্যাটিং। ডি ভিলিয়ার্সের দলে যোগ দেওয়া নিঃসন্দেহে রংপুরের জন্য সুখবর।
রংপুরের কোচ টম মুডি অবশ্য মনে করেন না, প্রোটিয়া তারকা একাদশে আসা মানেই ভোজবাজির মতো সবকিছু পাল্টে যাওয়া। আজ সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে দলের অনুশীলনে বললেন, ‘এবি ডি ভিলিয়ার্সের মতো খেলোয়াড় যেকোনো দলকেই রাঙিয়ে দিতে পারে। কিন্তু কেউ যদি মনে করে, ভিলিয়ার্স দলে এলেই জাদুর পরশে সবকিছু বদলে গিয়ে দল দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলা শুরু করবে, তাহলে সে বোকার স্বর্গে বাস করছে। এবি তো আর জাদু জানে না।’
সংস্করণ যতই ছোট হোক, মুডি মনে করেন, ক্রিকেট শেষ পর্যন্ত দলীয় খেলাই, ‘ডি ভিলিয়ার্স অবশ্যই দলকে শক্তিশালী করবে। কিন্তু দলে তো প্রতিভাবান খেলোয়াড়ের অভাব নেই। ডি ভিলিয়ার্স আসার পরও সবাইকে পরিশ্রম করে যেতে হবে। নিজেদের খেলাটা খেলতে হবে। দলের পারফরম্যান্স একটা সম্মিলিত ব্যাপার। কোনো ব্যক্তি দলে বিশাল কোনো পরিবর্তন আনতে পারে না। তবে হ্যাঁ, আমরা ডি ভিলিয়ার্সকে সাদরেই দলে নিয়েছি। সে অবশ্যই বিশ্বমানের একজন তারকা। দলের ড্রেসিং রুম ওকে পেয়ে অনেকটাই অনুপ্রাণিত হবে।’
গেইলকে নিয়েও খুব বেশি চিন্তিত নন মুডি। তবে এটা স্বীকার করলেন, ‘অবশ্যই গেইল হতাশ। ওর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যে রেকর্ড আছে, দুনিয়ার বাকি ক্রিকেটাররা তার ধারেকাছেও নেই। তার মতো একজন ক্রিকেটারের নিজের সেরাটা দেওয়া কেবলই সময়ের ব্যাপার। টুর্নামেন্টের যেকোনো সময়ই আমরা তার কাছ থেকে বড় কিছু দেখব।’
মুডির নিজের হতাশার জায়গাটা হচ্ছে তাঁর দল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচগুলো হেরে যাচ্ছে। এর একটা কারণ তিনি খুঁজে বের করেছেন, ‘আমরা কোনোমতেই একজন ব্যাটসম্যানের ওপর ভরসা করে টিকে থাকতে পারব না। আমরা অতিমাত্রায় রুশোনির্ভর হয়ে পড়েছি। দলের টপ অর্ডারের বাকিদেরও রুশোর মতো নির্ভরযোগ্যতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমার মনে হয় এই কারণেই আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচগুলোয় হেরে যাচ্ছি।’
সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে বুধবার সন্ধ্যার ম্যাচটি নিয়েও হতাশ মুডি, ‘উইকেট ছিল পুরোপুরি ব্যাটিং উপযোগী। সে কারণে ১৮০ রান তাড়া করা উচিত ছিল। আমি তো মনে করেছিলাম সিলেট ১৫-২০ রান কমই করেছে। কন্ডিশনও আমাদের পক্ষেই ছিল। শিশিরের কারণে বোলারদের বোলিং করতে অসুবিধা হচ্ছিল। কিন্তু ১১ রানে প্রথমেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর পুরো ব্যাপারটাই কঠিন হয়ে গেছে।’