কেউ হয়তো বলতেই পারেন, টেস্ট ক্রিকেটকে নতুন জীবন ইংল্যান্ড তো দিয়েই ফেলেছে! ২৭৭, ২৯৯, ২৯৬—নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে এই রান তাড়া করে জিতেছে ইংল্যান্ড। আর আজ তো ভারতের বিপক্ষে নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৩৭৮ রান তাড়া করে জয়!
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ২৭৭ তাড়া করতে গিয়ে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা ওভারপ্রতি রান তুলেছেন ৩.৫৪ করে। চতুর্থ ইনিংসে এমন গড়ে রান তোলা কীভাবে সম্ভব—এ নিয়ে যখন আলোচনা শুরু হয়েছে, কিউইদের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে জনি বেয়ারস্টো–বেন স্টোকসরা আবির্ভূত হলেন আরও ভয়ংকর রূপে! দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে তাঁরা রান তুলেছেন ৫.৯৮ গড়ে!
চতুর্থ ইনিংসে রান তোলার এ গড়কে যেন নিয়মিত করে ফেলছেন বেয়ারস্টো–রুটরা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টে ৫.৪৫ আর আজ ভারতের বিপক্ষে ৪.৯৩ গড়ে রান তুলেছেন তাঁরা। এরপর কেউ টেস্ট ক্রিকেটকে স্টোকসদের ‘নতুন জীবন’ দিয়ে ফেলার কথা বললে সেটাকে ভুল বলা যাবে না!
কিন্তু ইংল্যান্ডের নতুন অধিনায়ক যা বললেন, প্রতিপক্ষ দলগুলোর কোচ–খেলোয়াড়দের কপালে বড় বড় ভাঁজই পড়বে। স্টোকসের কথার মর্মার্থ এ রকম—এখনো নতুন জীবন দেওয়া হয়নি টেস্ট ক্রিকেটকে, ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়েরা সেটা দিতে চান। তার মানে ইংল্যান্ড এমন আক্রমণাত্মক ক্রিকেটই খেলে যাবে এবং ভবিষ্যতে হয়তো আরও বেশি আক্রমণাত্মক হবে!
আজ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ জয়ের পর স্টোকস বলেছেন, ‘টেস্ট ক্রিকেট যেভাবে খেলা হয়েছে, বিশেষ করে ইংল্যান্ড যেভাবে টেস্ট ক্রিকেট খেলেছে, সেই ধরনটা আমরা নতুন করে লেখার চেষ্টা করছি। আমরা টেস্ট ক্রিকেটকে নতুন জীবন দিতে চাই...আমরা টেস্ট ক্রিকেটে নতুন সমর্থক নিয়ে আসছি।’
নতুন ইংল্যান্ডের নতুন মানসিকতার কথা বুঝতে স্টোকসের এই কথাটাই যথেষ্ট, ‘কখনো কখনো কোনো দল আমাদের চেয়ে ভালো হবে। কিন্তু আমাদের চেয়ে সাহসী হতে পারবে না।’
স্টোকস ম্যাচ শেষে স্কাই স্পোর্টসের সঙ্গে তাঁর কথোপকথন শেষ করেছেন এই বলে, ‘আমি তো প্রায় চেয়েই ছিলাম তারা ৪৫০ রান করুক। দেখতে চেয়েছিলাম, তখন আমরা কেমন করি।’