>প্রতিপক্ষকে দুই ইনিংস মিলিয়ে সবচেয়ে কম বলে দুবার অলআউট করে জেতা ম্যাচের নতুন রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ
আড়াই দিনে টেস্ট জিতল বাংলাদেশ! সাড়ে সাত সেশনের মতো খেলা হয়েছে এই টেস্টে। প্রতিপক্ষকে বাংলাদেশ দুই ইনিংসে মাত্র ৯৯ ওভার ২ বল করেই দুবার অলআউট করেছে। অর্থাৎ প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট তুলে জয় পেতে বাংলাদেশকে খরচ করতে হয়েছে ৫৯৬ বল। এটিই টেস্টে বাংলাদেশের দ্রুততম জয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট ইতিহাসে দ্বাদশ দ্রুততম পরাজয়।
এই টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে পারে মাত্র ৬৪ ওভার। দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের অবস্থা ছিল আরও শোচনীয়। ২১.৫ ওভারে তাদের ৮ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। নবম উইকেটে ৬১ রান আর ৮৩ বলের জুটিটা না হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আরও বড় লজ্জায় পড়তে পারত। শেষ পর্যন্ত ৩৫.২ ওভারে অলআউট হয়ে যায় তারা। তাতেই বলের হিসাবে প্রতিপক্ষকে দ্রুততম সময়ে অলআউট করে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের আগের রেকর্ডটি ছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ২০১৪ সালে মিরপুর টেস্টে জিম্বাবুয়েকে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৬৭০ বলে অলআউট করে জিতেছিল বাংলাদেশ।
প্রতিপক্ষ টেস্টে ১০০০-এর কম বলে দুবার অলআউট করে বাংলাদেশ টেস্ট জিতেছে ছয়বার। তিনবারই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। এর মধ্যে দুবার সেই ২০০৯ সালের আলোচিত সফরে, যেখানে খেলোয়াড় বিদ্রোহে দ্বিতীয় সারির একাদশ নামাতে বাধ্য হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে বাংলাদেশ যে শুধু দুর্বল প্রতিপক্ষকেই এভাবে গুঁড়িয়ে দিয়েছে তা নয়। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ারও এই অভিজ্ঞতা হয়েছে বাংলাদেশের বিপক্ষে।
এ বছর জুলাইয়ে বাংলাদেশকে দুই ইনিংসে মাত্র ৩৫৪ বলে গুঁড়িয়ে দিয়ে জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশ নিল মধুর প্রতিশোধ! সেটিও অবশ্য ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বলের হিসাবে প্রতিপক্ষকে দ্রুততম সময়ে অলআউট করে জেতার নতুন রেকর্ড। এমনিতে সব দল মিলিয়ে এই রেকর্ডটি ইংল্যান্ডের। ১৮৯৬ সালে পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে দুই ইনিংসে ২৪৮ বলের মধ্যে অলআউট করে দেয় ইংলিশরা।
টেস্টে বাংলাদেশের দ্রুততম জয়
প্রতিপক্ষ | বল | মাঠ | সাল |
উইন্ডিজ | ৫৯৬ | চট্টগ্রাম | ২০১৮ |
জিম্বাবুয়ে | ৬৭০ | ঢাকা | ২০১৪ |
ইংল্যান্ড | ৭৬২ | ঢাকা | ২০১৬ |
অস্ট্রেলিয়া | ৮৭৪ | ঢাকা | ২০১৭ |
উইন্ডিজ | ৮৮২ | গ্রেনাডা | ২০০৯ |
উইন্ডিজ | ৯৯২ | সেন্ট ভিনসেন্ট | ২০০৯ |