এখন থেকে কোনো সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার একই সময়ে একাধিক পদে আসীন থাকতে পারবেন না।
আইপিএলের মৌসুমে দৃশ্যটি এখন বেশ পরিচিত। প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজির ডাগআউটে সাবেক অনেক ভারতীয় ক্রিকেট তারকাকে দেখা যায় বিভিন্ন ভূমিকায়। কেউ মেন্টর, আবার কেউ থাকেন কোচিংয়ের দায়িত্বে। আবার বিশ্বকাপের মতো আসরে এদের অনেকেই কাজ করেন ধারাভাষ্যকার হিসেবে। বছরের বাকি সময় তাদের বেশির ভাগই কাজ করেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) বেতনভুক্ত কর্মচারী হিসেবে। তবে এখন থেকে সেই সুযোগ আর পাবেন না শচীন টেন্ডুলকার-সৌরভ গাঙ্গুলীরা।
বিসিসিআইয়ের নৈতিকতা সংক্রান্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক অনুমোদিত বিসিসিআইয়ের নতুন নীতিমালা মোতাবেক এখন থেকে একজন ব্যক্তি একই সময়ে একটির বেশি পদে আসীন থাকতে পারবেন না। বিচারপতি ডিকে জৈনের আদেশ অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী হবে। এতে করে গাঙ্গুলী, টেন্ডুলকার, লক্ষ্মণদের মতো সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটারদের একাধিক পদে কাজের সুযোগ বন্ধ হয়ে গেল।
এ বিশ্বকাপেই যেমন গাঙ্গুলী, টেন্ডুলকার, লক্ষ্মণ, সুনীল গাভাস্কার, হরভজন সিং, বীরেন্দর শেবাগ, অনিল কুম্বলে, সঞ্জয় মাঞ্জরেকাররা ধারাভাষ্যকার কিংবা স্টার স্পোর্টসের বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করছেন। এদের মধ্যেই কেউ কেউ আইপিএলের দলগুলোর বিভিন্ন পদে আছেন, আবার বিসিসিআইয়েরও বিভিন্ন পদে আছেন। এই যেমন টেন্ডুলকার, গাঙ্গুলী ও লক্ষ্মণ তিনজনই বিসিসিআইয়ের ক্রিকেট পরামর্শক কমিটির সদস্য।
বিসিসিআইয়ের এই নতুন সিদ্ধান্তের পর তাঁদের যেকোনো একটি পদ বেছে নিতে হবে। বিসিসিআইয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া নতুন নীতিমালার ৩৮(৪) ধারার ‘স্বার্থের সংঘাত’ উপধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যক্তি একই সঙ্গে এই পদগুলোর মধ্যে একাধিক পদে আসীন থাকতে পারবেন না—(১) বর্তমান খেলোয়াড়, (২) নির্বাচক/ক্রিকেট কমিটির সদস্য, (৩) টিম ম্যানেজমেন্ট, (৪) ধারাভাষ্যকার, (৫) ম্যাচ পরিচালন কর্মকর্তা, (৬) প্রশাসক........ (১৬) কোনো ক্রিকেট একাডেমির মালিক।’
এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ হিসেবে বিসিসিআইয়ের এক সদস্য বলেছেন, ‘কিছু ব্যক্তি একই সঙ্গে একাধিক পদ দখল করে আছেন। এতে করে ক্ষমতার ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। লোধা কমিটির সুপারিশমালায় এটি অন্যতম প্রধান সুপারিশ ছিল।’ ইঙ্গিতটা যে টেন্ডুলকার-গাঙ্গুলীদের দিকেই, সেটি তো স্পষ্টই।