>বেশ কিছুদিন ধরেই ভারতীয় অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজাকে নিয়ে টুইটারে তর্ক-বিতর্কে মেতে উঠেছিলেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার ও ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন। বিতর্কের মাত্রা এতটাই বেড়েছিল যে শেষমেশ না পেরে ভনকে ব্লকই মেরে দিয়েছেন মাঞ্জরেকার!
মজা খুব সম্ভবত বেশিক্ষণ নিতে পারেন না সঞ্জয় মাঞ্জরেকার। রবীন্দ্র জাদেজাকে নিয়ে তাঁর একটা মন্তব্যের জের ধরে বেশ কিছু দিন ধরে কিছুটা ঠাট্টা মশকরা করছিলেন সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইকেল ভন। শেষ পর্যন্ত ভনকে টুইটারে ব্লক করে দিয়েছেন মাঞ্জরেকার। ব্যাপারটা টুইট করে জানিয়েছেন ভন নিজেই।
জাদেজাকে ‘ছোট’ খেলোয়াড় বলেছিলেন মাঞ্জরেকার। সে মন্তব্যের ঝাঁজাল জবাব জাদেজাই দিয়েছিলেন। মাঞ্জরেকারকে বলেছিলেন, তাঁকে নিয়ে কিছু বলার আগে নিজের ক্যারিয়ারের পরিসংখ্যানটা যেন একটু ভালো করে দেখে আসেন মাঞ্জরেকার। সেমিফাইনালের আগে সম্ভাব্য ভারতীয় লাইনআপ টুইটারে পোস্ট করেন এই ভারতীয় ধারাভাষ্যকার। সেখানে তিনি জাদেজাকে রেখেছিলেন। তা দেখে মাঞ্জরেকারকে নিয়ে মজা করার সুযোগটা হাতছাড়া করেননি ভন। পাল্টা টুইট দিয়ে মাঞ্জরেকারকে বলেছিলেন, ‘দেখা যাচ্ছে ছোট খাট ক্রিকেটারকে ঠিকই দলে রেখেছ তুমি, মাঞ্জরেকার!’
পালটা টুইট দিয়ে মাঞ্জরেকার ভনকে জানান, ‘এই দলটা অনুমান করেছি প্রিয় ভন, বলিনি এটা আমার পছন্দের দল!’
এর পরেও বিভিন্ন সময়ে মাঞ্জরেকারকে নিয়ে মজা করতে ছাড়েননি ভন। গতকাল ভারত-নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনালে ভারতের মূল একাদশে শেষ পর্যন্ত জাদেজা থাকলেন। সেটি দেখে সঙ্গে সঙ্গে টুইট করেন ভন, ‘ছোট খাট খেলোয়াড়ের খেলা দেখার সময় এসেছে!’
ম্যাচ শুরু হওয়ার পরে জাদেজা ঠিকই নিজের গুরুত্ব বোঝানো শুরু করে দেন। দুর্দান্ত এক বলে বোল্ড করেন কিউই ওপেনার হেনরি নিকোলসকে। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের সঙ্গে তখন মোটামুটি ইনিংস মেরামত করার কাজ করছিলেন নিকোলস। জুটিটা ভেঙে জাদেজাই ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন। সঙ্গে সঙ্গে আবারও মাঞ্জরেকারকে খোঁচা দিয়ে টুইট করেন ভন, ‘বাহ! ছোট খাট ক্রিকেটারটা দেখি ভালোই বল স্পিন করতে পারে!’
এর পর আর ভনের খোঁচা নিতে পারেননি মাঞ্জরেকার। সরাসরি টুইটারে ব্লক করে দিয়েছেন ভনকে। সেটির ছবি আবার ভন নিজের টুইটারে পোস্ট করে জানিয়েছেন, ‘বিশেষ খবর, সঞ্জয় মাঞ্জরেকার আমাকে ব্লক করেছে! আমার জীবন সার্থক!’
আজ আবার মাঞ্জরেকারের মান ভাঙানোর জন্য টুইট করেছেন ভন, ‘আহা! আমি তো শুধুই মজা করেছিলাম সঞ্জয়!’