বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ২২ গজে বোলারদের খুন করে চলেন বলে নামের আগে বসে গেছে ‘কিলার’ তকমা! বাংলাদেশের বোলারদের দুর্ভাগ্য, ডেভিড মিলার তাঁর সেই রুদ্র রূপটা আরেকবার দেখালেন আজ। পচেফস্ট্রুমে বাংলাদেশের বোলারদের কচুকাটা করে তুলে নিলেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি। ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করে রেকর্ড বইয়ে নাম তুলেছেন মিলার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি এর আগে কখনোই এমন ঝোড়ো সেঞ্চুরি দেখেনি। আগের চেয়ে ১০ বল কম খেলে দ্রুততম সেঞ্চুরির নতুন রেকর্ড গড়লেন মিলার। সফরের শেষ ম্যাচটাও ৮৩ রানের বড় ব্যবধানে হেরে দেশে ফিরছে বাংলাদেশ।
৯ম ওভারের শেষ বলে উইকেট আসেন মিলার। দক্ষিণ আফ্রিকার রান তখন ৩ উইকেটে ৭৮। মাত্রই উইকেটে আসা মিলারকে দ্রুত ফিরিয়ে দেওয়ার সুযোগও পেয়েছিল বাংলাদেশ। রুবেল হোসেনের শর্ট বলটা পুল করতে গিয়ে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে তুলে দিয়েছিলেন মিলার। মুশফিক সেটি ধরতে পারেননি। শূন্য রানে জীবন পাওয়া মিলার পরে খুনই করলেন বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণকে।
২৩ বলে পেয়েছেন ফিফটি। ফিফটি থেকে সেঞ্চুরিতে পৌঁছাতে খেলেছেন মাত্র ১২ বল! ১৯তম ওভারে সাইফউদ্দিনকে মেরেছেন টানা পাঁচ ছক্কা! ওভার শেষে হতাশায় মাথার টুপিতে মুখ লুকালেন বাংলাদেশের তরুণ পেস বোলিং অলরাউন্ডার!
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম হলেও মিলারের সেঞ্চুরিটা টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে তৃতীয় দ্রুততম। তাঁর ওপরে আছেন শুধু গেইল আর সাইমন্ডস। তাঁদের সেঞ্চুরি দুটি ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে।
তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটি দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি। মিলারের ওপরে শুধু এবি ডি ভিলিয়ার্স। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করেছিলেন ৩১ বলে সেঞ্চুরি, যেটি ওয়ানডেতে সবচেয়ে দ্রুততম।
মিলার যখন সেঞ্চুরি করলেন তখন খুবই উচ্ছ্বসিত দেখাল ডি ভিলিয়ার্সকে। সতীর্থ ব্যাটসম্যান প্রতিপক্ষের বোলারদের পিটিয়ে ছাতু করছেন, এই দৃশ্য দেখে তাঁর ভীষণ আনন্দিতই হওয়ার কথা!
বাংলাদেশের জন্য আনন্দের কিছুই অবশ্য রইল না দীর্ঘ এই সফরে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরি
টেস্ট | ওয়ানডে | টি-টোয়েন্টি | |||
ব্যাটসম্যান | বল | ব্যাটসম্যান | বল | ব্যাটসম্যান | বল |
ম্যাককালাম | ৫৪ | ডি ভিলিয়ার্স | ৩১ | মিলার | ৩৫ |
ভিভ | ৫৬ | অ্যান্ডারসন | ৩৬ | লেভি | ৪৫ |
মিসবাহ | ৫৬ | আফ্রিদি | ৩৭ | ডু প্লেসি | ৪৬ |
গিলক্রিস্ট | ৫৭ | বাউচার | ৪৪ | লোকেশ | ৪৬ |