টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের তৃতীয় বোলার হিসেবে টানা ৪ বলে ৪ উইকেট নিলেন আয়ারল্যান্ড পেসার কার্টিস ক্যাম্ফার। আজ আবুধাবিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে এ কীর্তি গড়লেন তিনি। ব্রেট লির পর প্রথম বোলার হিসেবেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক হলো ক্যাম্ফারের। প্রথম আইরিশ বোলার হিসেবেও টি-টোয়েন্টিতে তো বটেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই হ্যাটট্রিক করলেন তিনি।
আগে ব্যাটিং করতে নামা নেদারল্যান্ডসের দশম ওভারে নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে আসেন ক্যাম্ফার। দ্বিতীয় বলটা ছিল লেগসাইডে, বলা যায় বাজে বলই। তবে কলিন অ্যাকারমান শটটা খেলতে পারেননি ঠিকঠাক। আয়ারল্যান্ডের কট বিহাইন্ডের জোরালো আবেদনে অবশ্য সাড়া দেননি আম্পায়ার রড টাকার, তিনি দিয়েছিলেন ওয়াইড। তবে আইরিশদের রিভিউ সফল হয়েছে, আল্ট্রা-এজে দেখা গেছে অ্যাকারম্যান আউট।
পরের উইকেটটি এসেছে দারুণ এক ডেলিভারিতে। মোটামুটি ফুল লেংথ থেকে রায়ান টেন ডেসকাটকে ফাঁদে ফেলেছেন ক্যাম্ফার, এবার টাকার দিয়েছেন আউট। টেন ডেসকাট রিভিউও নেননি। হ্যাটট্রিক-বলটাও ছিল প্রায় ডেসকাটের উইকেটের মতোই। এবারও ফুললেংথ থেকে সেটি আঘাত করেছে ব্যাটসম্যানের প্যাড, ব্যাটসম্যান ছিলেন স্কট এডওয়ার্ড। টাকার এবারও আউট দেননি, তবে আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বলবার্নি আবারও রিভিউ নিয়ে সফল হয়েছেন।
এডওয়ার্ডের সে উইকেটটি নিয়েই ব্রেট লি’র সঙ্গী ক্যাম্ফার। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরেই বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি। টি-টোয়েন্টি সংস্করণেই সেটি ছিল প্রথম হ্যাটট্রিক। সেবার সাকিব আল হাসান, অলক কাপালি আর মাশরাফি বিন মুর্তজাকে আউট করেছিলেন লি।
ক্যাম্ফার একটু পরই ছাড়িয়ে গেছেন লিকেও। এবার অফস্টাম্পের বাইরে ছিল বলটা, তাতে শট খেলতে গিয়ে স্টাম্পে বল টেনে এনেছেন রুলফ ভান ডার মারউই। ক্যাম্ফার টানা চার বলে পেয়ে যান তাঁর চতুর্থ উইকেট। নেদারল্যান্ডসের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ৫১। ক্যাম্ফারের ধ্বংসযজ্ঞের পর সেটিই হয়ে যায় ৫১/৬।
টি-টোয়েন্টিতে এর আগে ৪ বলে ৪ উইকেটের কীর্তি ছিল রশিদ খান ও লাসিথ মালিঙ্গার। ২০১৯ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেই ৪ উইকেট নিয়েছিলেন রশিদ। সে বছরই মালিঙ্গা ‘ডাবল হ্যাটট্রিক’ করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। মালিঙ্গার এ কীর্তি আছে ওয়ানডেতেও। ২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪ বলে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন সাবেক শ্রীলঙ্কান পেসার।