স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডটা গড়লেন শুভাগত হোম। ডিপিএল টি-টোয়েন্টিতে মোহামেডানের বিপক্ষে তিনি অপরাজিত ১৮ বলে ৫৮ রান করে
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুততম ফিফটি মোহাম্মদ আশরাফুলের। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জোহানেসবার্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০ বলে করেছিলেন। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আশরাফুলের রেকর্ডটি এখনো ভাঙতে পারেননি বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটসম্যান।
তবে আজ আশরাফুলকেই দর্শক বানিয়ে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডটা গড়লেন শুভাগত হোম। ডিপিএল টি-টোয়েন্টিতে মোহামেডানের বিপক্ষে শুভাগত-ঝড়ে ৪ উইকেটে ১৯২ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর পেয়েছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব।
কাল ফতুল্লায় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে ১০ বলে ৩২ করে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শুভাগত আরও রুদ্রমূর্তি হয়ে আবির্ভূত হলেন আশরাফুলের মোহামেডানের বিপক্ষে। শাইনপুকুরের এ অলরাউন্ডার ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ পেলেন ১৬তম ওভারে। আলাউদ্দিন বাবুর করা ১৭তম ওভারের শেষ দুই বলে ১০ রান তুলে শুরু করলেন ঝড়। সেটি চলল ইনিংসের শেষ পর্যন্ত। ৪ চার, ৬ ছক্কায় ১৬ বলে ফিফটি করে নাম লিখে ফেললেন রেকর্ডের পাতায়। এর আগে বাংলাদেশ ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডটা ছিল মুমিনুল হকের, ১৯ বলে।
কাজী অনীকের করা শেষ ওভারেই শুভাগত তুলেছেন ২১ রান। অপরাজিত ছিলেন ১৮ বলে ৫৮ রান করে। স্ট্রাইক রেট ৩২২.২২। শুভাগতের রেকর্ডের দিনে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন তৌহিদ হৃদয়ও, ৪১ বলে করেছেন ৬৬ রান। রেকর্ড কি আরও একটি হলো আজ? অবশ্য এটা কোনো গৌরবের রেকর্ড নয়, মোহামেডানের বাঁ হাতি পেসার অনীক ৪ ওভারে দিয়েছেন ৬২ রান, ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে এটিই সবচেয়ে ব্যয়বহুল বোলিং কি না, গবেষণাসাপেক্ষ বিষয়।