>
ব্যাট হাতে কাল সবচেয়ে সাবলীল ছিলেন তিনি। ২০ বলে ৩০ করে আউট হয়েছেন আম্পায়ারের বাজে সিদ্ধান্তে। অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে বল পায়ে লাগলেও এলবিডব্লু দিয়েছেন আম্পায়ার। অথচ নিয়ম অনুযায়ী এটা নটআউট। কিন্তু এ নিয়ে আফসোস করার সুযোগই পেলেন না লিটন দাস। জোর গলায় বলতে পারলেন না, আউটটা না হলে বাংলাদেশ হয়তো হারত না। কালকের ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই ওপেনার বলেছেন:
শেষ পর্যন্ত চাপটা সত্যি হলো?
লিটন: না, চাপ না। আসলে ওরা খুব ভালো বল করছে, ওরা খুব ভালো বোলার। পরিকল্পনা ছিল ওদের দেখে খেলা, উইকেট না দেওয়া। যেকোনো মুহূর্তেই ওদের উইকেট না দিয়ে খেলার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু রানও তো করতে হবে। তাই ঝুঁকি নিতেই হতো। কিন্তু ওখানেই ভুল হয়ে গেছে। আমরা সফল হতে পারিনি।
কেন সফল হতে পারেননি?
সফল হতে পারিনি কেন, এটা খুব কঠিন প্রশ্ন। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আপনি সফল হবেন কি না, তা আগে থেকে বলতে পারবেন না। আমরা ঝুঁকিটা নিয়েছিলাম, কারণ বলের থেকে প্রয়োজনীয় রানের সংখ্যাটাই বেশি ছিল। এ কারণে আমাদের ঝুঁকিটা নিতে হতোই।
বোলিং ব্যাটিং দুটিতে শুরু থেকেই খুব এলোমেলো মনে হয়েছে, কী সমস্যা ছিল?
সমস্যা না। হ্যাঁ, আমরা হয়তো পাওয়ার প্লেতে একটু বেশি রান দিয়ে ফেলেছি। মাঝখানে আবার খুব ভালো বল করেছি। শেষের দিকে ২০ থেকে ২৫ রান বেশি দিয়ে দিয়েছি। এই উইকেটটা এতটাও সহজ না যে চাইলেই মারা যায়। শেষের দিকে আমাদের বোলাররা পরিকল্পনা অনুযায়ী বল করতে পারেনি। আমরা জানতাম, এই উইকেটে চাইলেই মারা যাবে না, তাই ১৭০-এর কাছাকাছি রান আমাদের জন্য বাড়তি চাপ ছিল। ঝুঁকি নিতে গিয়ে অনেকে সফল হয়, অনেকে সফল হয় না।
মাহমুদউল্লাহকে কেন আনা হয়নি পরে?
এটা পুরোপুরিই অধিনায়কের সিদ্ধান্ত। হয়তো অধিনায়ক মনে করেছিলেন সে সময় স্পিনারদের চেয়ে পেসার ভালো করবে। আসলে এই ব্যাপারে বলাটা কঠিন। মাহমুদউল্লাহ ভাইয়ের পর অন্য কেউ এসে যদি একটা কি দুইটা উইকেট নিয়ে নিত, হয়তো পুরো খেলার দৃশ্যই পরিবর্তন হয়ে যেত। অন্য কেউ সফল হয়নি তাই এখন এ রকম প্রশ্ন উঠছে।
মানসিকভাবে কি বাংলাদেশ দল খুব চাপে ছিল?
আসলে আপনারাও জানেন আমরাও জানি ওরা খুব ভালো বোলার। আইপিএলেও খেলেছে, ভালো বোলিং ও করছে। ওই দুজনের (মুজিব ও রশিদ) চারটা ওভার কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ। যখন আপনি জানেন আপনি চাইলেও এই ওভারগুলোয় বেশি কিছু করতে পারবেন না, তখন চাপ তো কিছুটা থাকেই।
কতটা আশাবাদী পরবর্তী দুটি ম্যাচ নিয়ে
আমরা চেষ্টা করব।
মোস্তাফিজের অভাব কি কিছুটা হলেও অনুভব করছেন?
আপনারা জানেন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে মোস্তাফিজ বাংলাদেশের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। স্বাভাবিক ব্যাপার, একজন ভালো খেলোয়াড় না খেললে দলের ওপর একটু প্রভাব তো পড়েই। হ্যাঁ, কিছুটা চাপ ছিল। তবে এমন না যে মোস্তাফিজ না থাকলে আমরা ম্যাচ জিততে পারব না। কিছু ভুলের জন্য আমরা শেষের দিকে ভালো বল করতে পারিনি।