এ ম্যাচ থেকে সিলেটের পাওয়ার কিছু ছিল না। শুধু জয় দিয়ে বিপিএলে শেষ করার সান্ত্বনাটাই পাওয়ার ছিল তাদের। চিটাগং ভাইকিংসের সেদিক থেকে প্রাপ্তির খাতায় লেখার অনেক কিছুই ছিল। এ জয়ে রংপুর রাইডার্সকে টপকে যাওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু ভালো করার তাড়নাটা দেখা গেল সিলেটের মাঝেই। অন্তত দুই দলের ফিল্ডারদের শরীরী ভাষাতে সেটাই টের পাওয়া গেল। একদিকে সহজ থেকে সহজতর ক্যাচ ফেলেছে চিটাগং, অন্যদিকে দুর্দান্ত সব ক্যাচ ধরেছে সিলেট। এতেই চিটাগংকে ২৯ রানে হারিয়ে দিয়েছে সিলেট।
অষ্টম ওভারে ইয়াসির আলীকে ফেরাতে সম্ভবত টুর্নামেন্টের সেরা ক্যাচ ধরেছেন জেসন রয়। সিকান্দার রাজাকে ফেরাতে আফিফের ক্যাচটাও ছিল দুর্দান্ত। তাসকিনের চোটে মাঠে আসা মেহেদী হাসান রানাও দুটি ভালো ক্যাচ ধরেছেন। মোহাম্মদ আশরাফুলের ক্যাচ ধরেই দায়িত্ব পালন সম্পন্ন মনে করেননি উইকেটরক্ষক জাকের আলী। দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে রান আউট করেছেন ভয়ংকর হয়ে ওঠা মুশফিকুর রহিমকে।
১৬৫ তাড়া করতে নেমে সিলেট তাই ৯ বল আগেই ১৩৬ রানে অলআউট হয়ে গেছে। ৩২ বলে ৪৮ করা মুশফিক ছাড়া চট্টগ্রামের পক্ষে শুধু মোসাদ্দেকই যা একটু ভালো ব্যাট করেছেন। কিন্তু ১৫ বলে ২৫ রানের চেয়ে আরও বেশি কিছু দরকার ছিল চিটাগংয়ের। বিশেষ করে শুরুর ওই ধাক্কার পর। মাত্র ৩ রানে ২ ওপেনার ফিরে গেছে চিটাগংয়ের।
প্রথম ওভারেই আশরাফুলকে ফিরিয়েছেন তাসকিন। পরের ওভারেই ডেলপোর্টকে এবাদত হোসেন। টুর্নামেন্টের গুরুত্বপূর্ণ অংশে তাঁকে না খেলিয়ে যে ভুল করেছে সিলেট সেটা আবারও প্রমাণ করেছেন এবাদত। মাত্র ২ ওভার করে চোট পেয়ে তাসকিনের মাঠ ছাড়ার ঘটনার পরও সিলেট যে কোনো বিপদে পড়েনি, তার কারণ তো এই পেসারই। ৪ ওভার বল করে ১৭ রানে ৪ উইকেট পেয়েছেন এবাদত।