পাল্লেকেলেতে আজ উইকেট–বৃষ্টি হয়েছে। প্রথম দুই দিনে ৬ উইকেট পড়েছে যে পিচে, সেখানেই আজ ১৩ জন ব্যাটসম্যানকে ড্রেসিংরুমে ফিরতে দেখা গেছে। এমন উইকেট পতনের মিছিলে স্বভাবতই বেশ কিছু রেকর্ড হয়েছে পাল্লেকেলেতে। এর মধ্যে কিছু রেকর্ড প্রাপ্তির। আর অধিকাংশই কষ্টের। দেখে নেওয়া যাক কে কোন অনুভূতি নিয়ে আজ মাঠ ছাড়লেন—
দ্বিতীয়
মাত্র দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে হিট উইকেট হয়েছেন তাইজুল ইসলাম। বাংলাদেশের হয়ে প্রথম এমন দুর্ভাগ্যের শিকার হয়েছিলেন তাপস বৈশ্য। ২০০২ সালে চট্টগ্রামে ড্যারেন পাওয়েলের বলে হিট উইকেট হয়েছিলেন বৈশ্য। এরপর এভাবে আর কোনো বাংলাদেশি উইকেট হারাননি। ওদিকে টেস্ট ইতিহাসের ১৪৪তম ব্যাটসম্যান হিসেবে হিট উইকেট হলেন তাইজুল।
৩
টানা দুই টেস্টে নড়বড়ে নব্বইয়ে আউট হয়েছেন তামিম ইকবাল। এ নিয়ে টেস্টে তিনবার নব্বইয়ের ঘরে আটকা পড়লেন তামিম। টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি চারবার নব্বইয়ের ঘরে আটকা পড়েছেন সাকিব আল হাসান। এর মধ্যে একবার অপরাজিত ছিলেন সাকিব। তামিমের মতোই তিনবার নব্বইয়ে থেমেছেন মুশফিকুর রহিম।
চতুর্থ
বাংলাদেশের বিপক্ষে অভিষেকে পাঁচ উইকেট পাওয়া চতুর্থ বোলার প্রবীণ জয়াবিক্রমা। সর্বশেষ এ কীর্তি যাঁর, তিনিও শ্রীলঙ্কান স্পিনার। ২০১৮ সালে ঢাকার ভয়ংকর স্পিন–সহায়ক উইকেটে মাত্র ৫ ওভার বল করে ২৪ রানে ৫ উইকেট পেয়েছিলেন আকিলা দনঞ্জয়া। এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচ উইকেট কীর্তি ছিল দুই পেসারের—জিম্বাবুয়ের অ্যান্ডি ব্লিগনট ও পাকিস্তানের সাব্বির আহমেদ।
৬/৯২
বাংলাদেশের বিপক্ষে অভিষেকে সেরা বোলিং বিশ্লেষণ এখন লঙ্কান বাঁহাতি স্পিনার জয়াবিক্রমার।
শ্রীলঙ্কার হয়ে অভিষেকে সেরা বোলিংও মাত্র ১০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে টেস্ট খেলতে নেমে যাওয়া এই স্পিনারের।
১৮
নিরোশান ডিকভেলার টেস্টে ফিফটির সংখ্যা। আজ ৭৭ রানে অপরাজিত ছিলেন ডিকভেলা। টেস্ট ইতিহাসে সেঞ্চুরি পাননি এমন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফিফটির রেকর্ড ডিকভেলার। ক্যারিয়ার শেষ হয়েছে এমন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এই রেকর্ড চেতন চৌহানের। ১২ বছর লম্বা টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৬টি ফিফটি পেলেও এই ভারতীয় ওপেনার কখনো সেঞ্চুরি পাননি।