ধনঞ্জয়ার সেঞ্চুরির পর তাঁকে বুকে জড়িয়ে ধরে অভিবাদন জানান করুণারত্নে।
ধনঞ্জয়ার সেঞ্চুরির পর তাঁকে বুকে জড়িয়ে ধরে অভিবাদন জানান করুণারত্নে।

জোড়া সেঞ্চুরি–জোড়া সেঞ্চুরিতে ‘কাটাকাটি’

পাল্লেকেলে টেস্টে আজ চতুর্থ দিনে সকালের সেশন শেষে ৭৪ রানে অপরাজিত ছিলেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। দ্বিতীয় সেশন শুরুর পর চার ওভারের মধ্যে তিনি পৌঁছে যান ৯৭ রানে।

চারটি চার মেরে দ্রুতলয়েই ‘নড়বড়ে নব্বুই’–এ পৌঁছে যান ধনঞ্জয়া। কিন্তু তামিম ইকবালের মতো এই টেস্টের প্রথম ইনিংসে নড়বড়ে নব্বুইয়ে পৌঁছে নড়বড়ে ব্যাটিং তিনি করেননি। জমাট মনোসংযোগে টেস্ট ক্যারিয়ারে সপ্তম সেঞ্চুরি তুলে নেন ধনঞ্জয়া। অন্য প্রান্তে শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে পেরিয়ে গেছেন দেড় শ রান।

১০৯তম ওভারে তাসকিন আহমেদকে পুল করে সেঞ্চুরি তুলে নেন ধনঞ্জয়া। তাঁর ১৫৩ বলের এই ইনিংস রানপাহাড়ে চড়ার ক্ষেত্রে আদর্শ ব্যাটিংয়ের প্রতীক হয়ে থাকবে লঙ্কানদের প্রথম ইনিংসে।

বিশেষ করে সকালের সেশন থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ঝুঁকি নেননি মিডলঅর্ডার এ ব্যাটসম্যান। করুণারত্নেও জমাট ব্যাটিংয়ে একটু একটু করে এগোচ্ছেন ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার লক্ষ্যে।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩ উইকেটে ৩৯৮ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস থেকে ১৪৩ রানে পিছিয়ে স্বাগতিক দল। ১৫৮ রানে ব্যাট করছিলেন করুণারত্নে। অন্য প্রান্তে ১১৭ রানে অপরাজিত ধনঞ্জয়া।

সকালের সেশনেই সেঞ্চুরি তুলে নেন করুণারত্নে।

কাল ৬২.৩ ওভারে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে তুলে নেন তাইজুল ইসলাম। এরপর চতুর্থ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ২০৮* রানের জুটি গড়ে করুণারত্নে-ধনঞ্জয়া শুধু বিপর্যয়ই সামাল দেননি, শ্রীলঙ্কাকেও পৌঁছে দেন শক্ত অবস্থানে। আজ সকালের সেশন থেকে এ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার কোনো উইকেট ফেলতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা।

আজকের পর কালই টেস্টের শেষ দিন। এখনো একটি করে ইনিংস বাকি দুই দলের। অর্থাৎ পাল্লেকেলে টেস্টে কেউ জিতবে না—এই যুক্তির পক্ষে বাজি ধরার লোকের সংখ্যাই সম্ভবত বেশি।

তেমন কিছু ঘটলে দীর্ঘ সাত বছরের মধ্যে শ্রীলঙ্কার মাটিতে প্রথম ড্র টেস্ট দেখা যাবে। ২০১৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কলম্বো টেস্ট ড্র করেছিল শ্রীলঙ্কা। এরপর টানা ২৮ টেস্টে হার-জিত দেখা গেছে শ্রীলঙ্কার মাটিতে।

করুণারত্নে–ধনঞ্জয়ার জুটিতে ভর করে শক্ত অবস্থানে পৌঁছে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা।

সকালে স্পিনারদের সঙ্গে তিন পেসারকে দিয়েও বল করান অধিনায়ক মুমিনুল হক। কেউ সেভাবে বিপদ সৃষ্টি করতে না পারায় অগত্যা অধিনায়ক নিজেও বল হাতে তুলে নেন। এ পর্যন্ত মোট ছয় বোলার ব্যবহার করেছেন মুমিনুল।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১১০ ওভারের মধ্যে দুই স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম মিলেই করেছেন ৬৬ ওভার। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলেন নাজমুল হোসেন ও মুমিনুল। জোড়া সেঞ্চুরির জবাব জোড়া সেঞ্চুরি দিয়েই দিল শ্রীলঙ্কা।