>দুজনের উত্থান প্রায় একই সময়ে। জুবায়ের হোসেন ও রশিদ খান। বাংলাদেশের লেগ স্পিনার জুবায়ের নিজেকে বেশি দূর নিয়ে যেতে পারেননি, কিন্তু আফগানিস্তানের রশিদ খান এ মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা লেগ স্পিনার। চট্টগ্রামে আজ রশিদ খানের সান্নিধ্যে কিছু সময় কাটালেন জুবায়ের।
বাংলাদেশের জুবায়ের হোসেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এসেছিলেন আফগানিস্তানের রশিদ খানের আগে। এই দুই লেগ স্পিনারের এক জায়গায় খুব ভালো মিল। ক্যারিয়ারের শুরুতে দুজনই তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন নিজেদের প্রতিভা দিয়ে। কিন্তু জুবায়ের ঝরে পড়েছেন, রশিদ খান সময়ের সঙ্গে হয়েছে বিশ্বের এক নম্বর বোলার।
আজ এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে দুজনকেই এক সঙ্গে দেখা গেল। দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের শেষ ঘণ্টার খেলা হলো না বৃষ্টিতে। দুই দলের ক্রিকেটারদের হাতেই কিছু অবসর সময়। জুবায়ের সময়টা কাজে লাগালেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খানের সঙ্গে, লেগ স্পিন নিয়ে আলাপ করে।
প্রায় ১৫ মিনিটের মতো কথা বলতে দেখা গেল দুজনকে। সঙ্গে ছিলেন এনামুল হক। হাত-পা নেড়ে বেশ কিছু ড্রিল জুবায়েরকে দেখিয়ে দিলেন রশিদ। লেগ স্পিনে দক্ষতা বাড়ানোর জন্য কী কী করা উচিত, কী করে সাফল্য পেয়েছেন তিনি নিজে, হিন্দিতে এসব বলছিলেন আফগান অধিনায়ক। আর ভালো ছাত্রের মতো মনোযোগ দিয়ে শুনছিলেন জুবায়ের। চটগ্রাম টেস্ট শেষে ঢাকায় টি-টোয়েন্টি সিরিজের সময় বিশেষ সেশনের জন্য সময় চেয়ে নেন জুবায়ের। রশিদও আগ্রহী। রাজি হয়ে গেলেন সময় দিতে।
নিজ দেশে রশিদ খান একটি অনুপ্রেরণার নাম। এখন দেশের বাইরেও লেগ স্পিনারদের অনুপ্রাণিত করছেন, তাদের সাহায্য করছেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে। মাঠ থেকে ফেরার পর প্রথম আলোর সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎকারে জুবায়ের হোসেনের সঙ্গে নিজের আলাপচারিতার অংশটুকুও উঠে এল। চোখে-মুখে তৃপ্তি নিয়েই বললেন, ‘খুবই ভালো লাগে, এটা দেখে যে অনেকেই অনুপ্রাণিত হচ্ছে। সে যেই দেশেরই হোক, বাংলাদেশ হোক বা অন্য দেশের। আমার অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান তাদের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই। তরুণ লেগ স্পিনারদের সব সময় দেখতে ভালো লাগে। ওরা ব্যাটসম্যানদের কঠিন পরীক্ষা নিয়ে থাকে সব সময়। আর সবাই তো একজন আরেকজন থেকে আলাদা। ওর সঙ্গে আলাদা করে কথা হলো। আশা করছি ঢাকায় আলাদা করে কাজ করব।’
* রশিদ খানের সম্পূর্ণ সাক্ষাৎকার পড়ুন আগামীকাল মঙ্গলবারের প্রথম আলোয়