জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নয় মাস পরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরছে বাংলাদেশে। আপাতত সাকিব আল হাসানকে ‘দর্শক’ হয়ে দেখতে হচ্ছে এই সিরিজ। আঙুলের চোট সারিয়ে কবে মাঠে ফিরতে পারবেন, সেটি অজানা। বিষয়টি তিনি ছেড়ে দিচ্ছেন সময়ের ওপর। তবে সাকিবের বিশ্বাস, জিম্বাবুয়ে সিরিজে প্রত্যাশিত ফলই পাবে বাংলাদেশ।
সিরিজে ভালো করতে হলে তরুণ অর্থাৎ জুনিয়র খেলোয়াড়দের ভালো করার বিকল্প নেই। দলে যে নেই সাকিব-তামিম ইকবালের মতো দুই অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। সাকিবের আপত্তিটা এখানেই। জুনিয়র-সিনিয়র শব্দই তাঁর পছন্দ নয়। আজ রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ অলরাউন্ডার বললেন, ‘আমার কাছে জুনিয়র-সিনিয়র শব্দই পছন্দ হয় না। যারা দলে আছে তারা সবাই (ভালো) খেলার সামর্থ্য রাখে। তা না হলে তারা দলে থাকত না। এখানে সিনিয়র-জুনিয়রের কতটুকু দায়িত্ব, এমন কোনো বিষয় নেই। সবার একটাই দায়িত্ব কীভাবে দলের হয়ে ম্যাচটা জেতা যায়। সেই চেষ্টা সবাই করবে। কোনো দিন দুই-তিনজন ভালো খেলবে। কোনো দিন চার-পাঁচজন ভালো করবে। একটা ম্যাচে ১১ জনেরই ভালো খেলা কঠিন। সেটা যদি খেলে তাহলে বাংলাদেশ সব ম্যাচ জিততে পারবে।’
দল থেকে কোনো খেলোয়াড় বাদ পড়লে তাঁকে ‘খারাপ খেলোয়াড়’ বলতেও রাজি নন সাকিব। দলে আসা-যাওয়ার ব্যাপারটি এভাবে দেখছেন টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক, ‘যারা দলে থাকে ভালো করে দলে আসে। আর যারা দলে থাকে না তারা একটু খারাপ খেলায় বাদ পড়ে। তার মানে এই না যে যে দলে থাকে না সে খেলোয়াড় হিসেবে খারাপ; আবার যে দলে আছে সে খেলোয়াড় হিসেবে ভালো। যখন যার সুযোগ আসবে সে অবশ্যই চেষ্টা করবে যেন ভালো করতে পারে। দলের হয়ে অবদান রাখতে পারে। এটাই একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত খেলোয়াড়ের। যারা সুযোগ পাচ্ছে না তাদেরও চেষ্টা থাকবে ভালো করার, ছন্দটা সব সময় ধরে রাখার চেষ্টা করা। বিশেষ করে ঘরোয়া ক্রিকেটে।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কিংবা ঝাঁজ খুঁজে পাওয়া কঠিন। ক্ষয়িষ্ণু শক্তির জিম্বাবুয়েকে বাংলাদেশ হারাবে, এটাই যেন প্রত্যাশিত। তাই বলে জিম্বাবুয়েকে হালকাভাবে দেখতে রাজি নন সাকিব, ‘আমার যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল তখন আমরা জিম্বাবুয়ের সঙ্গে হারতাম। আর এখন ওদের হারাই। তবে এখনো মনে করি ওদের খুব হালকাভাবে নেওয়ার কিছু নেই। এ দলেরও সামর্থ্য আছে, আমরা যদি ভুল করি সেটা কাজে লাগিয়ে ম্যাচ জিতে যাওয়ার। জিম্বাবুয়েকে কেউ হালকা করে দেখছে না, দেখবেও না।’