যুবরাজ সিং
যুবরাজ সিং

জাতিবিদ্বেষী মন্তব্যের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন যুবরাজ

রসিকতার মূল্য এভাবে চুকাতে হবে, কে ভেবেছিল?

২০২০ সালে করোনাভাইরাসের কারণে ক্রিকেটে ক্ষণিক বিরতি নেমেছিল। তখন সময় কাটাতে ও সমর্থকদের বিনোদনের উৎস খুঁজে দিতে অনেক ক্রিকেটারই ভিডিও স্ট্রিমিং ব্যবস্থায় লাইভে এসে কথা বলতেন। বাংলাদেশের তামিম ইকবালের লাইভ আড্ডা তো দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। তাঁর আড্ডায় দেশি ক্রিকেটাররা তো ছিলেনই, এসেছিলেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মারাও।

তেমনই এক আড্ডা নিজেদের মধ্যে করেছিলেন যুবরাজ সিং ও রোহিত শর্মা। সে আড্ডাতে যুজবেন্দ্র চাহালকে নিয়ে রসিকতা করেছিলেন যুবরাজ। আর সে ঘটনাতেই গত পরশু রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাঁকে।

চাহালকে নিয়ে মন্তব্য করেই বিপদে পড়েছেন যুবরাজ

হরিয়ানা রাজ্যের হিসার জেলার হানসি অঞ্চলের পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল যুবরাজকে। কারণ, ২০২০ সালের জুনে ইনস্টাগ্রাম লাইভে যুজবেন্দ্র চাহালের জাত নিয়ে যে রসিকতা করেছিলেন যুবরাজ, সেটা বর্ণবাদী আচরণ ছিল।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, পুলিশ যুবরাজকে তিন ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তবে এরপর তাঁকে সাময়িক জামিন দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ভারতীয় দণ্ডবিধি ১৫৩ (এ) এবং ৫০৫ ধারা অনুযায়ী গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।’

যুবরাজ সিং

পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের নিয়ম মেনেই তাঁকে জামিন দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে হানসি পুলিশের উপপ্রধান বিনোদ শংকর বলেছেন, ‘যুবরাজ সিং শনিবার হানসিতে এসেছিলেন। আমরা তাঁকে আনুষ্ঠানিক গ্রেপ্তার করি। তবে কয়েক ঘণ্টা পর জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে যুবরাজকে।’

২০২০ সালের সে ঘটনায় হানসি অঞ্চলের রজত কালসান নামের একজন মামলা করেছিলেন যুবরাজের বিপক্ষে। গত বছরের জুনে রোহিত শর্মার সঙ্গে লাইভ আড্ডায় চাহালের টিকটক ও ইনস্টাগ্রাম নিয়ে মাতামাতি নিয়ে মজা করছিলেন যুবরাজ।

যুবরাজ সিং

একপর্যায়ে চাহালকে বোঝাতে গিয়ে এমন শব্দ ব্যবহার করেন, যা বর্ণবাদী শব্দ ছিল।
এ ব্যাপারে যুবরাজ গত বছরই ক্ষমা চেয়েছিলেন। টুইট করে বলেছিলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি, আমার বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডার সময় যা বলেছি, তা অনেকেই ভুল বুঝেছেন, এটা অগ্রহণযোগ্য ছিল। কিন্তু একজন দায়িত্ববান ভারতীয় হিসেবে আমি বলতে চাই, যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে আমি কারও আবেগ বা অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে থাকি, তবে সে জন্য দুঃখিত।’