অসম্ভব কিছু ছিল না। শেষ ১২ বলে মাত্র ১৬ রান করলেই হতো। কিন্তু হজরতউল্লাহ জাজাই সে সুযোগ পেলে তো! প্রথম ১১ বলে মাত্র ১ বল পেয়েছিলেন, তাতে এল ১ রান। একদম শেষ বলে আবার স্ট্রাইক পেয়েছেন, তাতে মারলেন ৪। তাতে জাজাইয়ের স্কোর গিয়ে দাঁড়াল ১৬২তে। টি-টোয়েন্টিতে! শেষ দিকে অন্য ব্যাটসম্যানদের ‘অসহযোগিতায়’ আর রেকর্ড গড়া হলো না জাজাইয়ের। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অ্যারন ফিঞ্চের ১৭২ রানই তাই রেকর্ড হিসেবে টিকে রইল। কিন্তু তার দলের রেকর্ডটা টিকল না।
টি-টোয়েন্টিতে দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর এত দিন ছিল অস্ট্রেলিয়ার। শ্রীলঙ্কার মাটিতে ২০১৬ সালে ২৬৩ রান তুলেছিল তারা। সে রেকর্ড আজ মুছে গেছে দেরাদুনে। ২০তম ওভারের প্রথম বলটাই ডিপ এক্সট্রা কভার দিয়ে সীমানার বাইরে আছড়ে ফেলেছেন মোহাম্মদ নবী। সে ছক্কাতেই আফগানিস্তানের স্কোর ২৬৭ হলো। সে ওভারে আরেক ছক্কা ও চারে আফগানিস্তানের স্কোর দাঁড়াল ২৭৮এ। এর মাঝে জাজাইয়ের একার সংগ্রহই ১৬২। পাঠক, আরেকবার মনে করিয়ে দেওয়া যাক, এটা একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ!
অ্যারন ফিঞ্চ ১৭২ রান তুলেছিলেন ৭৬ বলে। ১৬টি চার ও ১০ টি ছক্কা মেরেছিলেন সেদিন। আজ অন্তত বাউন্ডারিতে ছাড়িয়ে গেছেন জাজাই। তাঁর ইনিংসে ছক্কাই ১৬টি, আর চার ১১টি। আরেকটি ব্যাপারেও ছাড়িয়ে গেছেন জাজাই। হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ফিঞ্চ ও ডি আর্চি শর্ট মিলে প্রথম উইকেটেই ২২৩ রান তুলেছিলেন। ১১৬ বলের জুটিটাই ছিল টি-টোয়েন্টির সেরা জুটি। আজ জাজাই উসমান গনিকে নিয়ে প্রথম উইকেটেই তুলেছেন ২৩৬ রান , সেটাও ১৭.৩ ওভার খেলেই! ১৮তম ওভারে ৪৮ বলে ৭৩ রান করে গনি আউট হলেও আফগানিস্তানের রান উৎসব থামেনি। ৫ বলে ১৭ রান করে মোহাম্মদ নবী রেকর্ড থেকে অস্ট্রেলিয়ার আরেকটি কীর্তি মুছে ফেলা নিশ্চিত করেছেন।
তাড়া করতে নেমে ২ ওভারে বিনা উইকেটে ৩২ রান তুলেছে আয়ারল্যান্ড।