গ্যালারির চেয়ার ভাঙা, নেই কোনো রক্ষণাবেক্ষণ
গ্যালারির চেয়ার ভাঙা, নেই কোনো রক্ষণাবেক্ষণ

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের গ্যালারি যেন ‘ধ্বংসস্তূপ’

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের পর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামও দর্শক বরণ করে নেওয়ার অপেক্ষায় আছে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু হবে কাল শুক্রবার। আজ থেকে স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতার ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হবে। চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়াম ও সাগরিকার বিআইটিএসি মোড়ে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাংলাদেশ-পাকিস্তান প্রথম টেস্টের টিকিট বিক্রি হবে।

কিন্তু যারা টিকিট কেটে মাঠে খেলা দেখতে আসবেন, তাদের জন্য কতটা প্রস্তুত জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম? দর্শকেরা কতটা আরাম করে খেলা উপভোগ করতে পারবেন? স্টেডিয়ামের গ্যালারি যে রীতিমতো ধ্বংসস্তূপ!

কোথাও চেয়ার আছে, কোথাও নেই। চেয়ারের রঙগুলোও গেছে জ্বলে। পরিবেশও অপরিচ্ছন্ন

২০১১ বিশ্বকাপ উপলক্ষে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের আধুনিকায়ন করা হয়। সে সময় গ্যালারির এক পাশ দোতলা করে পুরো স্টেডিয়ামে প্লাস্টিকের চেয়ার বসানো হয়। কিন্তু আজ দশ বছর পর সেই চেয়ারগুলোর বেহাল দশা। করোনাকালে মাঠে দর্শক প্রবেশ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরই অবস্থাটা যেন বেশি খারাপ হয়েছে। গ্যালারির কোথাও চেয়ার আছে কোথাও নেই, চেয়ার থাকলেও সেগুলোর অবস্থা ভালো নয়। রক্ষণাবেক্ষণের দুর্বলতায় চেয়ার ভেঙে গেছে অনেক জায়গাতেই। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে সেই চেয়ারগুলো না থাকলেই যেন ভালো হতো। কারণ সেই চেয়ারগুলোয় বসে খেলা দেখা অসম্ভবই।

গ্যালারিতে এই চেয়ার থাকার চেয়ে না থাকাই বোধহয় ভালো ছিল

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ভেন্যু ম্যানেজার ফজলে বারি খান অবশ্য জানিয়েছেন, নতুন করে চেয়ার বসতে যাচ্ছে স্টেডিয়ামে, ‘চেয়ারগুলো ভেঙে গেছে অনেক আগেই। আমরা আরএফএলকে কার্যাদেশ দিয়েছি চেয়ার বসানোর। শিগগিরই তারা কাজ শুরু করবে। আশা করছি বিপিএলের আগেই নতুন চেয়ার বসে যাবে স্টেডিয়ামে।’

নতুন করে চেয়ার বসানোর হচ্ছে বোর্ডের তত্ত্বাবধানে। এত দিন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের দিকে তাকিয়ে ছিল বিসিবি। কিন্তু কোনো কাজ না হওয়ায় গ্যালারির সংস্কারের দায়িত্বটা নিজেদের কাঁধেই তুলে নিয়েছে ক্রিকেট বোর্ড।

তুলনামূলক বেশি দামের টিকিটের গ্যালারিরও বাজে অবস্থা

ক্রিকেট বোর্ডই নাকি দেশীয় কোনো প্রতিষ্ঠানকে কাজটা দিতে বলেছে, যেন পরে সংস্কার করাটা সহজ হয়। কথাটা জানিয়েছেন ভেন্যু ম্যানেজারই, ‘বিসিবি এখন নিজেরাই চেয়ার বসাচ্ছে। এ ব্যাপারে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অপেক্ষায় ছিল বোর্ড। এসব চেয়ার তারাই আগে বসিয়েছিল। কোভিডের আগেই সভাপতি সাহেব বলেছিলেন চেয়ার লাগিয়ে ফেলতে। কিন্তু কোভিডের কারণে পারিনি। তিনিই বলেছিলেন দেশীয় কোনো প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে কাজ করাতে, কোনো কারণে এক বছরের মধ্যে যদি নষ্ট হলে যে তাদের দিয়েই দ্রুত সংস্কার করা যায়।’