ছেলেকে নিয়ে যা বললেন টেন্ডুলকার

>
লর্ডসে রেডিও বিক্রি করছেন অর্জুন টেন্ডুলকার। পাশে হরভজন সিং। ছবি: টুইটার
লর্ডসে রেডিও বিক্রি করছেন অর্জুন টেন্ডুলকার। পাশে হরভজন সিং। ছবি: টুইটার

নিজের ছেলে অর্জুন টেন্ডুলকারের ক্রিকেট ক্যারিয়ার নিয়ে আশাবাদী শচীন টেন্ডুলকার

অর্জুন নিজেও জানেন, তাঁর ক্রিকেট ক্যারিয়ার মোটেও সহজ হবে না। সেটি তাঁর বাবার জন্য। বাবার নামটা যে শচীন টেন্ডুলকার! এমন কিংবদন্তির ছেলেকে নিয়ে সবার আগ্রহ থাকাটাই স্বাভাবিক। কতটুকু বাবার মতো আর কতটুকুই–বা আলাদা, এসব হিসাব–নিকাশ আরকি। কিন্তু শচীন টেন্ডুলকার নিজে কিন্তু ছেলের এসব ব্যাপার নিয়ে মোটেও ভাবেন না। অর্জুনকে তিনি পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন নিজের পথ বেছে নেওয়ার।

বাবার দেখানো পথ ধরেই অর্জুন টেন্ডুলকার আজ ক্রিকেটে। বাঁহাতি এই পেসার সম্প্রতি ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে শ্রীলঙ্কায় চার দিনের দুটি বেসরকারি টেস্ট খেলছেন। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে এ সফর তাঁর আন্তর্জাতিক অভিষেক। সামনে দীর্ঘ পথ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান ও সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক শচীন কিন্তু মনে করেন, এই দীর্ঘ পথে সব বাধা টপকানোর সামর্থ্য রয়েছে তাঁর ছেলে অর্জুনের।

‘বিবিসি টেস্ট ম্যাচ স্পেশাল’কে শচীন বলেন, ‘তাঁকে নিজের ইচ্ছামতো সবকিছু করার স্বাধীনতা দিয়েছি। সে বাঁহাতি সিমার। ক্রিকেটটা এখন সে উপভোগ করছে। তাঁর কাজকর্মে অতটা নাক গলাই না। যত দিন পর্যন্ত ক্রিকেটকে ভালোবাসবে, আমি নিশ্চিত সেই পথে বাধা আসবে, কিন্তু সে বাধা পেরিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতও থাকবে।’
বাবার দুর্দান্ত ক্রিকেট ক্যারিয়ারের জন্য অর্জুন আলাদা চাপের মধ্যে থাকেন কি না, এই প্রশ্নের জবাবে শচীন জানিয়েছেন, ছেলের সঙ্গে তিনি ক্রিকেটার নন, বাবার মতো আচরণ করেন। শচীন বলেন, ‘নামের (শচীনের ছেলে) কারণে চাপ তো আছেই। কিন্তু এসব নিয়ে তাঁর সঙ্গে বেশি কথা হয় না। তবে ভারতের সংবাদমাধ্যমকে বলেছি, আমি তাঁদের সঙ্গে ক্রিকেটার নয়, বাবা হিসেবে কথা বলি।’

অর্জুন এখন ইংল্যান্ডে অবস্থান করছেন। মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) অধীনে তাঁর অনুশীলন চলছে ইয়ং ক্রিকেটার্স প্রোগ্রামে। এর পাশাপাশি লর্ডস টেস্টে মাঠকর্মী হিসেবেও তাঁকে দেখা গেছে। এখানেই শেষ নয়; ভারতের সাবেক অফ স্পিনার হরভজন সিং টুইটারে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে লর্ডসের বাইরে টেন্ডুলকার-পুত্র রেডিও বিক্রি করছেন! শখের বশে হলেও টেন্ডুলকারের ছেলে জীবন সম্বন্ধে ভালোই ধারণা নিচ্ছেন।